News update
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে বন্যা দুর্গতদের জন্য সহায়তা পৌঁছেছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অনাহার 2022-09-13, 9:25am

09d40000-0a00-0242-dfd8-08da9446881b_w408_r1_s-8cbe6c1b6112c2d46822015f53c578ee1663039537.jpg




প্রবল মৌসুমি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পাকিস্তানিদের জন্য সাহায্য বোঝাই যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি সামরিক বিমান রোববার দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে অবতরণ করেছে। এটি দরিদ্র দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।

দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র সাইফ উল্লাহ বলেছেন, বিমানে প্রায় ৩৫ টন ত্রাণ বহন করা হয়েছে যা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কর্তৃক প্রদেশটিতে বিতরণ করা হবে।

এই বছরের শুরুতে- জুনের মাঝামাঝি শুরু হওয়া অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিতে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একাধিক কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বৃষ্টি এবং এর ফলস্বরূপ হওয়া বন্যার জলরাশিকে দায়ী করেছেন।

জুনের মাঝামাঝি থেকে প্রবল বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪শ মানুষ মারা গেছে, ১৩ হাজার আহত এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছে। জলরাশি রাস্তা ও যোগাযোগ অবকাঠামোও ধ্বংস করেছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সিন্ধু প্রদেশে ২৭০ জন শিশুসহ ৫২১ জন মারা গেছে এবং ৮ হাজার ৪শ জন আহত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, এবারের বর্ষার নজিরবিহীন বৃষ্টি এবং বন্যায় ১৫ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি, ৬৩টি সেতু, ২ হাজার ৬৮৮ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় ৫ লাখ গবাদিপশু সিন্ধু প্রদেশ জুড়ে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

জুন মাস থেকে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা নগদ অর্থ সংকটে পড়া পাকিস্তানে দুর্দশার নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব তুলে ধরেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বনের ঐতিহাসিক নিঃসরণের মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশের জন্য পাকিস্তান দায়ী। ২১ দশমিক ৫ শতাংশের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, ১৬ দশমিক ৫ শতাংশের জন্য চীন এবং ১৫ শতাংশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন দায়ী। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।