গুঞ্জন ছিলো সড়ে যাবার, শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা এলো। শ্রীলংকার পরিবর্তে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। তবে আয়োজক হিসেবে থাকবে শ্রীলংকাই।
গতরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর নিশ্চিত করে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তারা জানায়, ‘শ্রীলংকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আলোচনা সাপেক্ষে এবং সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিযোগিতাটি লংকা থেকে আমিরাতে স্থানান্তর করা হল।’
তারা আরও জানায়, আগামী ২৭ অগাস্ট-১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে ১৫তম এশিয়া কাপ। আসন্ন আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই হবে।
বিবৃতিতে এসিসির সভাপতি জয় শাহ বলেন, ‘শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য সকল চেষ্টাই করা হয়েছিলো এবং অনেক আলোচনার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমিরাতে খেলা হলেও এশিয়া কাপের আয়োজক থাকবে শ্রীলংকাই।’
এ বিষয়ে শ্রীলংকা ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা বলেন, ‘আমরা আসলেই চাচ্ছিলাম আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোকে নিয়ে দেশের মাটিতেই এশিয়া কাপ আয়োজন করতে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসিসি শ্রীলংকা থেকে আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ স্থানান্তরের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে এবং আমরা এসিসির পাশে আছি। এশিয়া কাপকে সফল করতে এসিসিকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’
মূলত দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরমভাবে খারাপ হয়ে পড়ায় এশিয়া কাপ আয়োজন করা থেকে সড়ে আসে শ্রীলংকা।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল আরব আমিরাত। ওয়ানডে ফরম্যাটের ঐ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
তবে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় আগামী আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় এসিসি।
এশিয়া কাপে খেলবে ছয়টি দল। মূল পর্বে খেলবে শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। বাছাই পর্ব থেকে ১টি দল মূল পর্বে জায়গা করে নিবে।
বাছাই পর্ব থেকে হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও আমিরাতের মধ্যে সেরা দলটি মূল পর্বে খেলবে। বাছাই পর্ব নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি এসিসি। তথ্য সূত্র বাসস।