News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে, গ্যাসের সমাধান শিগগিরই হবে : বিজিএমইএ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2022-11-27, 8:50am




রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যাচ্ছে। পোশাক শিল্প কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, পোশাক কারখানায় বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়েছে। আর গ্যাসের সমস্যা সহসা কেটে যাবে।

শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সদ্যসমাপ্ত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ কথা বলেন।   

তিনি বলেন, পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎতের যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে কারখানায়। সরকার ব্রুনাই থেকে গ্যাস আনার চেস্টা করছে। সেখান থেকে গ্যাস আসলে আশা করি সহসা এর সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যে সমস্যা হয়েছিল, তার সমাধান হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়েছিল একসময়। এখন চারটি স্ক্যানার বসানো হয়েছে। প্রায় সময়ই সেগুলো অলস পড়ে থাকে। বলতে পারি, রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরেও কোনো জটিলতা নেই।’

সম্প্রতি ঢাকায় শেষ হওয়া মেইড ইন বাংলাদেশ উইক নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ’র ইতিহাসে প্রথমবার ৭ দিনব্যাপী মেগা ইভেন্ট ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদযাপন করেছি। এতে মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিল। তিনি বলেন, এবারের ইভেন্টে বিপুলসংখ্যক নতুন ক্রেতা অংশগ্রণ করেন, তাদের অনেকের কাছ থেকে ক্রয় আদেশ পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি পুরানো ক্রেতারা আরও বেশি পরিমাণ পোশাক বাংলাদেশ থেকে কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোন কোন ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে দ্বিগুন পোশাক কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

মেইড ইন বাংলাদেশ উইকের অন্যতম কর্মসূচি ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা একই ছাদের নীচে আমাদের পোশাক,  টেক্সটাইল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্যগুলো উপস্থাপন করেছি। বৈশ্বিক ক্রেতা এবং তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশী পোশাকের বৈচিত্র্যময় ক্যাটাগরিগুলো সামনাসামনি দেখার সুযোগ পেয়েছে।আমরা এই প্রদর্শনীতে বাংলাদশকে উচ্চ মূল্য সংযোজনকারী পোশাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে উপস্থাপন করতে পেরেছি বলে তিনি দাবি করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৫৫০টিরও অধিক ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিদেরকে এক্সপো’তে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা পোশাকখাতকে টেকসই করতে উদ্ভাবন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে ঢাকায় আসেন। সংবাদ  সম্মেলনে জানানো হয়, দেশ-বিদেশের প্রায় ১১ হাজার বেশি মানুষ ৩ দিনব্যাপী এক্সপো পরিদর্শন করেন, যার মধ্যে প্রায় ৫০০ জন বিদেশী ভিজিটর ছিলেন। ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপো’তে দেশি-বিদেশী ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো স্ব স্ব পণ্য প্রদর্শন করেন। তথ্য সূত্র বাসস।