Budget for 2023-24
প্রস্তাবিত নতুন অর্থ বছরের বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন -
বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুখবর নেই, আইএমএফকে খুশী রেখেই বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে।
দুঃসময়ে সমতাধর্মী যে বাজেট দরকার ছিল বাজেটে তা অনুপস্থিত। বাজেটের পর দারিদ্র্য ও নিঃস্বকরন আরও বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
"স্মার্ট বাংলাদেশের" জন্য নাগরিকদের যে অধিকার ও সক্ষমতা দরকার বাজেটে তার কোন নির্দেশণা নেই।
আজ জাতীয় সংসদে নতুন অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় মিটাতে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে কোন সুখবর নেই ; বাস্তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল - আইএমএফকে খুশী রেখেই এই বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে। বাজেট আশার পরিবর্তে হতাশা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। সেবাখাতে ভর্তুকী কমিয়ে বাজেটে প্রকৃত বরাদ্দ সংকুচিত করা হয়েছে।
আইএমএফকে আস্থায় নিতে শহর ও গ্রামের গরীবদের জন্য চলে আসা প্রকল্পসমূহে প্রদত্ত বরাদ্দ ও ভর্তুকীও কমিয়ে আনা হয়েছে। আইএমএফ এর শর্ত পূরণে বাড়তি যে ৪৮,০০০ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করতে হবে তাও দিতে হবে সাধারণ মানুষদেরকে।
তিনি বলেন, ৪৪ টি সেবা পেতে ন্যুনতম কর হিসাবে যে ২০০০ টাকা গুনতে হবে তা রীতিমতো অত্যাচারের সামিল।
তিনি বলেন, একটি অর্থনৈতিক দুঃসময়ে যে ধরনের সমতাধর্মী আশা জাগানিয়া বাজেট দরকার তা বাজেট প্রস্তাবনায় অনুপস্থিত। খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য কমবে কিনা ও জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয়ভার কমবে কিনা বাজেটে এরকম কোন আশাবাদী প্রস্তাব নেই। মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধি পাবে কিনা তারও কোন নির্দেশনা নেই।
তিনি বলেন বাজেটে রাজস্ব ব্যয়সহ অনুৎপাদনশীল ব্যয় কমিয়ে আনার কোন প্রস্তাবনা নেই। তাছাড়া ঋণ করে ঘি খাওয়ার মাশুল দিতে যেয়ে বাজেটের টাকার এক বড় অংশ বেরিয়ে যাবে ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতে।
তিনি বলেন,বাজেটের ২,৫৭,৮৮৫ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণের আসল বোঝা শেষ পর্যন্ত বহন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। করের আওতা বৃদ্ধি করে ও বিত্তবানদের উপর বর্ধিত কর আদায় করে রাজস্ব বৃদ্ধির দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রস্তাবনা বাজেটে নেই।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, বন্ধ পাটকল ও চিনিকলসহ জাতীয় শিল্পের বিকাশ ও প্রকৃত উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে নির্দিষ্ট কোন প্রস্তাব নেই।শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যুনতম মজুরি কমিশন ঘোষণা ও মহার্ঘ ভাতা চালুর ব্যাপারেও কোন প্রস্তাব নেই। কৃষি,শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দও নিতান্ত অপ্রতুল।
তিনি বলেন,"স্মার্ট বাংলাদেশে"র যাত্রী হবার জন্য নাগরিকদের যে অধিকার ও সক্ষমতা দরকার অর্থমন্ত্রী সে ব্যাপারেও কোন আশাবাদ সৃষ্টি করতে পারেননি।
তিনি বলেন, এই বাজেট দারিদ্র্য ও নিঃস্বকরন প্রক্রিয়াকে পরোক্ষভাবে আরও জোরদার করবে।