News update
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     
  • ‘Very unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Sunday morning     |     
  • Harassment, corruption shade Begum Rokeya University, Rangpur     |     
  • Sikaiana Islanders Face Rising Seas and Uncertain Future     |     
  • BD Election Commission to begin political dialogue this week     |     

পুঁজিবাজার অস্তিত্ব সংকটে ব্রোকারেজ হাউজগুলো!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-06-13, 1:28pm

8f4025068ef6e4b351b70832013e5ef15068af796d1faf6c-3d13ee63e527c2888113c3c4159e979c1718263791.png




অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজগুলো। লোকসানের চাপ সামাল দিতে পারছে না এদের শাখা অফিস, এমনকি বন্ধ করে দিতেও বাধ্য হচ্ছে তারা। তাদের হিসাবে বছর ব্যবধানে আয় কমেছে ৮০ শতাংশের মতো।

কাজী ফিরোজ রশিদ সিকিউরিটিজ লিমিটেড। মতিঝিলে ১৯৭৮ সাল থেকে বিনিয়োগকারীদের সেবা দিয়ে আসছে ব্রোকারেজ হাউজটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়ায় আর নতুন বিও অ্যাকাউন্ট না আসায় গত এক বছরে অন্তত ৮০ শতাংশ আয় কমেছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। ক্ষতির মুখে গত ৬ মাসে বন্ধ করতে হয়েছে তাদের ৩টি শাখা অফিস; ছাঁটাই হয়েছে প্রায় অর্ধশত কর্মী।

ঢাকা শেয়ার বাজারের (ডিএসই) অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ ব্রোকারেজ হাউজের অবস্থাই এমন যে, আর্থিক সংকটে সেগুলো বন্ধের উপক্রম। ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন যেখানে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হওয়া দরকার, সেখানে বর্তমানে ৩ থেকে ৪শ কোটি টাকার মধ্যে আটকে আছে ডিএসইর লেনদেন। ফলে লাভতো দূরের কথা, খরচ যোগাতেই হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

কাজী ফিরোজ রশিদ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. শাফি হোসাইন বলেন,

লেনদেন না হলে কমিশন পায় না ব্রোকারেজ হাউজগুলো। আর কমিশন না পেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়।

সংকটে ঠিক কতগুলো হাউজ বন্ধ হয়েছে বা বন্ধের উপক্রম হয়েছে, তার সঠিক তথ্য নেই ডিএসই বা ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) কারো কাছেই। তবে বেশিরভাগ হাউজই অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে -- এ নিয়ে সবাই একমত।

ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন,পুঁজিবাজারে লেনদেন না বাড়লে সেটি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ। শুধু ব্রোকারেজ হাউজ নয়, এটি বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হুমকির কারণ।

বর্তমানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে ৩০৬টি। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা থেকে প্রাপ্ত কমিশন, বিও অ্যাকাউন্ট খোলা ও বাৎসরিক সিডিবিএল চার্জ থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়েই চলে এসব প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকার লড়াই। সময় সংবাদ।