News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-10-31, 9:55am

ertertvs-6b1d48596b54dc81a085da70012ad3341730346913.jpg




বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ) ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

তিনি বলেন, চলতি মাসেই আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর করেন অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সেখান থেকে দেশে ফিরে বিশ্বব্যাংকের এ ঋণের কথা জানান গভর্নর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে গত এক বছরে ইডিএফ ফান্ডের আকার ব্যাপকভাবে সংকুচিত করা হয়েছে। করোনার সময়ের ৭ বিলিয়ন ডলারের ইডিএফ ফান্ডের আকার সাম্প্রতিক সময়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে ইডিএফ তহবিল গঠন করা হয়। কোভিডকালে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়া ২০২২ সালে ইডিএফের তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭০০ কোটি (৭ বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত করা হয়। লাগামহীন অর্থ পাচার ও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধের পর দেশে ডলার সংকট তীব্র হয়। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর হন আব্দুর রউফ তালুকদার।

ইডিএফ কমাতে জোর দেন তিনি। তার নির্দেশে আকার ছোট হয়ে গত মে মাসে ইডিএফের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। আর জুন শেষে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। গত জুলাইয়ে ইডিএফের আকার দাঁড়ায় ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। আর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সরকারের পালাবদলের পরে আগস্ট শেষে ইডিএফের আকার হয় ২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে তা হয় ২ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরও ছোট হয়েছে এ ফান্ডের আকার।

জানা গেছে, আইএমএফের দেওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত পূরণে গত বছরে মাঝামাঝি এই তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ বন্ধ রাখা হয়। পরে সীমিত পর্যায়ে চালু করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আলোচিত বিসমিল্লাহ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ৪০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মতো আটকে রয়েছে। এর মধ্যে আটটি গ্রুপের কাছেই প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের ইডিএফ ঋণ রয়েছে। আরটিভি