News update
  • Will Cumilla’s long abandoned airport surge back to life     |     
  • Expanding Bangladesh-Afghanistan Trade Prospects     |     
  • End misuse of police, ensure pol neutrality: Noted Citizens     |     
  • Decision on corridor must come from Parliament: Tarique     |     
  • Two teens killed in landslide while playing football in Ctg     |     

স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা কেয়া গ্রুপের চার কারখানা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-01-02, 8:22pm

img_20250102_202026-20fd764d01a96a1cbcc0fce5b05d47f51735827729.jpg




গাজীপুর মহানগরীর জরুন এলাকার কেয়া গ্রুপের ৪ পোশাক তৈরি কারখানায় আগামী ১ মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যান কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরির উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতা।

সাঁটিয়ে দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) সব শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরির উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতার জন্য আগামী ১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে ফ্যাক্টরির সব কর্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সব শ্রমিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) শ্রী ২০১৫, ২০১৮ এবং ২০২২ এর বিধি অনুযায়ী পাওনাদী কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।

এর আগে ২৯ ডিসেম্বর থেকে জরুন এলাকায় অবস্থিত কেয়া গ্রুপের শ্রমিকরা নভেম্বর বকেয়া বেতন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন। কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ি কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সেদিন শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে বন্ধের নোটিশ পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রমিকরা ২৯ ডিসেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে। পরে যৌথ বাহিনীর সহয়তায় মালিক শ্রমিক পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো মেনে নেয় মালিক পক্ষ। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক বন্ধ থাকার কারখানা ১ জানুয়ারি কারখানা খুলে দিয়ে নতুন করে বন্ধের ওই নোটিশ দেন কর্তৃপক্ষ।

কারখানার মানব সম্পদক কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরির উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতা কারণ দেখিয়ে আগামী ১ মে থেকে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি ধাপে শ্রমিকদের সব পওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে। আরটিভি