News update
  • Climate Crisis Fuels Hunger, Migration, and Global Instability     |     
  • Trump, Putin to Meet in Budapest After ‘Productive’ Call     |     
  • Dhaka stocks end week flat; Chattogram extends losses     |     
  • Torch rallies in 5 northern dists for Teesta Master Plan execution     |     
  • Go live together Friday, we stand united: Prof Yunus urges media      |     

‘ছাত্রদের যখন হত্যা করা হচ্ছিল, আতিক তখন গান গাচ্ছিলেন’

আদালতে সরকারি কৌঁসুলি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আদালত 2024-10-17, 6:20pm

sferwerwer-ebca9038e00dfe272e155aff40abed821729167602.jpg




ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে মোহাম্মদপুর থানার তিনটি হত্যা মামলায় জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হায়দার এই আদেশ দেন।

ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ শিক্ষার্থী রফিক হাসান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাবেক মেয়রকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানার আরও দুই হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ‍্যোন অ‍্যারেস্ট) আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক অন‍্য দুই মামলায় আতিকুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন আতিকুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক আতিকুলের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, বিনা বিজ্ঞপ্তিতে মেয়র আতিক তাঁর মেয়েকে হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনকভাবে তাঁকে মাসে আট লাখ টাকা করে বেতন দিয়েছেন। তিনি (আতিকের মেয়ে বুশরা আফরিন) নামে মাত্র রাস্তায় কয়েকটি গাড়ি দিয়ে পানি দিয়েছেন। তিনি নাকি বাংলাদেশের হিট প্রশমিত করছেন! 

শুনানিতে আইনজীবী আরও বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্ররা যখন মারা যাচ্ছিল, তখন আতিকুল ইসলাম তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে গান গেয়ে নাচানাচি করেন। ঠিক রোম যখন পুড়ছিল, শাসক নীরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। তাঁকেও (আতিক) দেখলাম, যখন ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছিল, তখন তিনি গান গাচ্ছিলেন। 

আইনজীবী ফারুকী আরও বলেন, আজ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আসামি আতিককে আদালতে হাজির করেছেন। এরপর আরও দুটি মামলায় শ্যোন এরেস্ট দিখেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে সপ্তম শ্রেণির একজন ছাত্রকে হত্যা। একটা কচি ছেলে, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজকের যে আসামি (আতিক), প্রাথমিক তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আতিক এতোদিন পলাতক ছিলেন। এখন তাকে আটক করেছে। তিনি পালিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, আতিক যদি পালিয়ে যান এবং অন্যরা যারা পালাতে চায় তাদেরকেও তিনি সহযোগিতা করবেন, দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী যাঁরা পালিয়ে আছেন, তাঁদের নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন। এই মুহূর্তে তাঁকে কারাগারে পাঠানো আবশ‍্যক। 

শুনানিতে আসামি আতিকের পক্ষে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই মামলার আসামি নন। হত্যা মামলায় আসামি করতে হলে আসামিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে হয়। সাক্ষীদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় জবানবন্দি এবং ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে হয়। জবানবন্দিতে অন্য আসামি যদি তাঁর নাম বলত তাহলে তাঁর (আতিক) সম্পৃক্ততা বুঝা যেত। এই ধরনের চারটি উপাদানের মধ্যে কোনো উপাদান তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি। তাঁকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাবেক মেয়র আতিকের জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ‍্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও সিটি করপোরেশনে অফিস করেন আতিকুর ইসালাম। তবে ১৮ আগস্ট রাতে সিটি করপোরেশনের কার্যালয় থেকে তড়িঘড়ি করে তাঁর পালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

আতিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৩-১৪ মেয়াদে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এনটিভি