কম্বোডিয়ার রাজধানীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকদের এক বৈঠকে মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধ করতে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক প্রধান সমস্যাগুলি মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা হয়।
কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এসোসিয়েশনের এটিই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এই মহামারির কারণে অর্থনীতি দুর্বল এবং কূটনীতি জটিল হয়েছে। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রক সোখোন বৈঠকের আগে প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আসিয়ানকে বিভিন্ন রকম ও স্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে, কিন্তু এর আগে এই বছরের মতো কখনোই একইসাথে এই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য এত বড় বিপদের মুখোমুখি হইনি।’
সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। পরবর্তীতে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংসতার কারণে দেশটিকে আসিয়ানের বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক প্রতিনিধি পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সামরিক সরকার বলেছে যে ,তারা কোন প্রতিনিধি পাঠাবে না। আলোচনায় মিয়ানমারের কোন প্রতিনিধিত্বকারী না থাকায় দেশটিকে আসিয়ানের শান্তির জন্য পাঁচ দফা পরিকল্পনা মেনে চলার ব্যাপারে চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।
সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে গত সপ্তাহে বিচারিক মৃত্যুদণ্ড আবার শুরুর ঘোষণা দেয় এবং চার রাজনৈতিক বন্দীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এর ফলে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ এই ঘটনাকে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' হিসেবে আখ্যায়িত করে নিন্দা জানান। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।