বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবেলার জন্য নিউজিল্যান্ড বুধবার তার প্রথম জাতীয় পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। ওয়েলিংটনের সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও তীব্র ঝড় ও বন্যা দেখা দেওয়ায় বসবাসের কিছু জায়গা পরিত্যক্ত করতে হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী জেমস শ বলেন, আবহাওয়ার এমন ভয়াবহ ঘটনা যা আগে অকল্পনীয় বলে মনে হতো, তা ‘এখন এমন গতিতে এবং তীব্রতায় ঘটছে যা আমরা আগে কখনও অনুভব করিনি।’
নিউজিল্যান্ডকে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে বুধবার তিনি প্রথম দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ঘোষণা করেন। এতে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলের কাছাকাছি কিছু বাড়ি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হতে পারে। ২০০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের একটি দূরদর্শী নীতি হলো প্রতিকূল ঘটনা ঘটার আগেই তার জন্য প্রস্তুত হওয়া ,পরে নয়।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়ি-ঘর তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে না।
ওয়েলিংটনের কাছে সাংবাদিকদের শ’ বলেন, নিউজিল্যান্ডকে আরো উষ্ণ ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
শ’ আরও বলেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জনগোষ্ঠী গত এক বছরে ভয়াবহ বন্যা, খরা ও ঝড়ের কবলে পড়েছে।
২০২১ সালটি নিউজিল্যান্ডের উষ্ণতম বছরের রেকর্ড গড়েছে।
জাতীয় জলবায়ু কৌশলটি অভিযোজন পরিকল্পনার একটি সিরিজে প্রতি ছয় বছর অন্তর নতুন করে প্রস্তুত করা হবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার খরচ সম্পত্তির মালিক, নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকার, বীমা সংস্থা এবং ব্যাংকগুলির মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হবে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।