News update
  • Banks in Bangladesh slash CSR; spending hits 10-year low     |     
  • Law approved to equip EC to punish neglect of polls duty     |     
  • Expats must register thru mobile app to vote in BD polls     |     
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     

বেইজিংয়ে সি চিন পিংয়ে সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বৈঠক প্রসঙ্গ

ওয়াং হাইমান ঊর্মি কুটনীতি 2023-04-07, 8:28pm

zlcjljcsajcja-a1ccf935a447ac8d5c58293b3e7b1df81680877735.jpg




চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ের গণমহাভবনে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকখোঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার (এপ্রিল ৭) বিকেলে বৈঠকে মিলিত হন।

তিন বছর পর পুনরায় চীন সফরে আসা ম্যাকখোঁকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, দু'দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক ও সুষ্ঠু উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রেখেছে, যা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, “তিন বছর পর প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁ পুনরায় চীন সফরে এলেন। তিন বছরে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। তবে, দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক সুষ্ঠু উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রাখতে পেরেছে। অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে উচ্চ করেছে। চীন ও ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে; মহাকাশ ও কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য এবং গুণগত মানের কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রেখেছে দু'দেশ। কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় দু'দেশ পরস্পরকে সমর্থন। আফ্রিকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দু'দেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রেখে চলেছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁর এবার চীন সফর হচ্ছে চীনের বৈদেশিক বিনিময় সার্বিক পুনরায় চালু হওয়া ও চীনের দুই অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের পর, ইউরোপীয় দেশগুলোর শীর্ষনেতৃবৃন্দের একজনের প্রথম চীন সফর। এবারের সফর চীন ও ইউরোপের সম্পর্কের উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে বলে আশা করা যায়।”

সি চিন পিং আরও বলেন, “বর্তমান বিশ্ব গভীর ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ, স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী বড় রাষ্ট্র, এবং বিশ্বের বহুমুখী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে গণতন্ত্রায়নের দৃঢ় প্রচারক হিসেবে চীন ও ফ্রান্স, মতভেদ অতিক্রম করে, স্থিতিশীল, পারস্পরিক কল্যাণকর সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সক্ষম। এর ফলে সত্যিকারের বহুপক্ষবাদ অনুশীলন করে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষা করা যাবে।”

প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেন, স্থিতিশীলতা হচ্ছে চীন ও ফ্রান্সের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ও মূল্যবান বিষয়; দু'পক্ষের উচিত এর যত্ন নেওয়া। চলতি বছর চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কৌশল, অর্থ, এবং মানবিক বিনিময়—এই তিনটি উচ্চ পর্যায়ের সংলাপব্যবস্থার। নতুন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দু'পক্ষের উচিত একে অপরের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও মূল স্বার্থকে সম্মান করা এবং সুষ্ঠুভাবে মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করা।

তিনি বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে কৃষিপণ্য, মহাকাশ ও বেসামরিক পরমাণু শক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা গভীরতর করতে চীন ইচ্ছুক। ২০২৪ সালে চীনের আন্তর্জাতিক সেবা বাণিজ্য মেলা এবং সপ্তম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার প্রধান অতিথি দেশ হিসেবে ফ্রান্সকে স্বাগত জানায় বেইজিং। ফ্রান্স চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ন্যায্য ও বৈষম্যহীন ব্যবসা-পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলেও চীন আশা করে। আগামী বছর চীন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী, চীন ও ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক পর্যটন বর্ষ এবং প্যারিস অলিম্পিক গেমসের সুযোগে, দু'দেশের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে চীন ইচ্ছুক বলেও প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেন।

সি আরও বলেন, চলতি বছর চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, ইউরোপের সঙ্গে সার্বিকভাবে বিনিময় ও সংলাপ পুনরায় চালু হওয়ায়, পারস্পরিক আস্থার সরবরাহ চেইনের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়ন করতে চীন ইচ্ছুক।

এসময় প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁ বলেন, “তিন বছর আগের চীন সফর আমার স্মৃতিতে এখনও তাজা। পুনরায় চীন সফরে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। প্রেসিডেন্ট সি'র সঙ্গে চীন ও ফ্রান্সের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করব আমি । ”

ম্যাকখোঁ আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এবং আমার প্রতিনিধিদল খুব আনন্দের সাথে আপনার সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে এসেছি। আগামী বছর ফ্রান্স ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী। বিগত ৬০ বছরে এক স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে দু'পক্ষ। এই ব্যাপারে ফ্রান্স ও চীনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।”

ইউক্রেন সংকট নিয়েও দু'নেতা মতবিনিময় করেন। রাজনৈতিক উপায়ে ইউক্রেন সংকট নিষ্পত্তিতে চীন যে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

(ওয়াং হাইমান ঊর্মি, সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং, চীন।)