উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে যে, তারা এই সপ্তাহে পানির নিচে পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন হামলাকারী ড্রোনের আরেকটি পরীক্ষা চালিয়েছে।
ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির নিজস্ব সংবাদপত্রের শনিবারের সংস্করণে বলা হয়েছে যে, একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চার দিন ধরে পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশের উপকূলের অদূরে পরীক্ষা চালানোর এলাকায় পানিতে নিমজ্জনের সক্ষমতা থাকা "হায়েইল-২" নামক ড্রোনটি প্রবেশ করে।
এতে এটিও বলা হয় যে, ড্রোনটি একটি পূর্বনির্ধারিত কল্পিত লক্ষ্যে পৌঁছে একটি পরীক্ষামূলক ওয়ারহেড বা পরমাণু অস্ত্রের যথাযথ বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে ১ হাজার কিলোমিটারের ভার্চুয়াল দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় ৭১ ঘন্টা সময় ব্যয় করে।
উত্তর কোরিয়া এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তাদের “হায়েইল” নামক নতুন অস্ত্রের পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, কোরীয় ভাষায় “হায়েইল” এর অর্থ "সুনামি"। গতমাসে প্রথম “হায়েইল”এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে, এমন উল্লেখ করে, দেশটি এই দাবি করেছে যে এটি শত্রু জাহাজ এবং সমুদ্রবন্দর ধ্বংসে সক্ষম এরকম "তেজস্ক্রিয় সুনামির” সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া মঙ্গলবার পর্যন্ত পূর্ব চীন সাগরে মার্কিন পরমাণু শক্তি চালিত বিমানবাহী রণতরী’সহ একটি যৌথ মহড়া চালানোর মাঝে সর্বশেষ এই পরীক্ষার কথা জানালো উত্তর কোরিয়া। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।