News update
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     
  • Israel to send negotiators to Gaza talks     |     
  • Bangladesh bounce back to level series as Tanvir bags five     |     
  • UN Chief Condemns Russian Attacks, Warns of Nuclear Risks     |     
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     

ডুম্বুর বাঁধ নিয়ে যা জানালেন ত্রিপুরার মন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2024-08-23, 10:40pm

dferwereqwr-90c034336931f63a4f7237101bb417ab1724431233.jpg




তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায়। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের এক মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের থেকে ১৫১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

রাজ্য প্রশাসন জানায়, বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন মারা গেছে এবং দুইজন নিখোঁজ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন। প্রায় ১৭ লাখ মানুষ সেখানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বিবিসিকে জানান, গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধীন ডম্বুর জলাধার গোমতী জেলায় অবস্থিত। এই জেলায় আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ১৯৬.৫ মিলিমিটার, অথচ সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৬৫৬.৬ মিলিমিটার যা ২৩৪ শতাংশ বেশি।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানী আগরতলাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও পানির নিচে। হাওড়া, খোয়াই, মুহুরী ও ঢলাইসহ রাজ্যের প্রায় সব নদীই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর রাজ্যের তিনটি জেলায় লাল সতর্কতা ও বাকিগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে আগাম সতর্কতা ছাড়াই ভারত ডম্বুর গেট খুলে দেওয়াই বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, যে প্রচারটা করা হচ্ছে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া নিয়ে সেটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু না।

মন্ত্রী বলেন, এ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব জেলা তার মধ্যে আছে গোমতী। সেখানেই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডম্বুর স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা হয়েছে বলে ঢাকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। পানির এর বেশি হলেই নিজ থেকেই গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। পানি নিচে নেমে গেলে নিজের থেকেই গেট বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, পানির স্তর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে যেতেই জলাধারের দুটি গেট দিয়ে পানি বেরোচ্ছে। এর মধ্যে একটি গেট দিয়ে ৫০% হারে পানি বেরোচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আগে থেকেই মাইকিং করে সতর্ক থাকার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালের ২১ আগস্ট ত্রিপুরার সাব্রুমে একদিনে ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড ছিল। আর এ বছর ২০ আগস্ট একদিনে বৃষ্টি হয়েছে ৩৭৫.৮ মিলিমিটার। ঠিক ৩১ বছর পরে একদিনে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পুরো মাসের হিসাব যদি দেখি, আগস্টের ২১ দিনে স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ২১৪ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৩৮. ৭ মিলিমিটার অর্থাৎ ১৫১% বেশি। এত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বড় বন্যা দেখা গেছে বলে ভাষ্য রতন লালের।

রাজধানী আগরতলা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ডম্বুর হ্রদ। সেখানে পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা রাজ বসু বলেন, রাইমা ও সরমা দুটি ছোট নদী স্থানীয়রা যাদের ছড়া বলে। এই নদী দুইটির তীর্থমুখ হ্রদে এসে মিশেছে। মিলিত স্থান থেকেই গোমতীর উৎপত্তি। ত্রিপুরার বেশিরভাগ নদী বা ছড়ার মতোই গোমতীও স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের দিকে বয়ে গেছে। ডম্বুর হ্রদে প্রায় ৪৮টি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। শীতকালে অনেক পরিযায়ী পাখি এখানে আসে। তাই এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থলও।

তিনি আরও জানান, বর্ষাকালে ত্রিপুরা বা উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরের লাগোয়া এলাকাগুলোতে যে রকম ফ্লাড-প্লেইনস দেখা যায় এটিও সেরকমই একটি অঞ্চল। অনেকদিন ধরেই ধরেই এই অঞ্চল জীববৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। আরটিভি