যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগালের পর এবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে ফ্রান্স এই স্বীকৃতি দিয়েছে। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার দেয়া মানে ইসরায়েলিদের অধিকার কেড়ে নেয়া নয়।
তিনি আন্দোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মনাকো, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং সান মারিনোসহ অন্যান্য দেশগুলোর কথাও তুলে ধরেন যারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, জুলাই মাসে এই দেশগুলো ‘আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে’ এবং শান্তির পথ বেছে নেয়ার জন্য দায়িত্বশীল ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনও ‘একই পথে হাঁটছে’।
ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের জন্য কোনো পুরস্কার নয়, বরং অধিকার। একইসঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব নয়, বরং চরমপন্থা ছড়িয়ে পরতে পারে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান একে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেন। এখন নতুন বাস্তবতা তৈরি করে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনার আহ্বান জানান।
তবে জাতিসংঘে ইসরাইলি দূত ড্যানি ড্যানন সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানকে কোনো সহায়ক উদ্যোগ মনে করে না তেল আবিব। এটি সন্ত্রাসকে উসকে দেয়ার চেষ্টার অংশ।