হবিগঞ্জ জেলায় এবছর কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে কাঠাল উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার টন।
জেলার বাহুবল উপজেলার হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের সড়কে অবস্থিত মুছাই আড়তে চলছে জমজমাট কাঠালের ব্যবসা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে পাইকারী বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভীড়। দূরদুরান্ত থেকে পাইকাররা এসে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন কাঠাল। আর বাহুবল উপজেলার পাহাড়ী এলাকার বাগান মালিকরা জিপ দিয়ে হাজার-হাজার কাঠাল নিয়ে আসছেন এই আড়তে।
বাহুবল উপজেলার ফয়জাবাদ পাহাড়ের চারিদিকে শুধু কাঠাল গাছ। অনুকুল আবহাওয়ায় এবছর গাছগুলোর শাখা ভরে উঠে এই ফলে। বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আরজু মিয়া জানান, এবছর কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুরুতে ভাল দাম থাকলেও এখন দাম কম।
কাঠাল বাগান মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, তার বাগানে ৫০০ কাঠাল গাছ আছে। এ বছর ৬/৭ লাখ টাকার কাঠাল উৎপাদন হয়েছে তার বাগানে।
হবিগঞ্জের সবচেয়ে বড় ফলের পাইকারী বাজার মুছাই। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি আড়ৎ। এই আড়তে বিক্রির জন্য কৃষকরা তাদের কাঠাল নিয়ে আসেন। প্রতি ১০০টি হিসাবে নিলামের মাধ্যমে এই কাঠাল বিক্রি হয়। মুছাই থেকে ট্রাক ভর্তি হয়ে দেশের বিভন্ন স্থানে চলে যায় এই কাঠাল। এখন বিদেশেও যাচ্ছে হবিগঞ্জের কাঠাল।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আশিক পারভেজ জানান, হবিগঞ্জের মাটি কাঠাল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এখানকার কাঠাল তুলনামুলকবাবে মিষ্টি ও সুস্বাধু। তাই এখানকার কাঠালের চাহিদা বেশী। এবছর কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে কাঠাল উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদনের পরিমান প্রায় ১৩ হাজার টন। তথ্য সূত্র বাসস।