News update
  • UN agencies reject Israeli plan to use aid as ‘bait’ over Gaza     |     
  • EU’s Ocean Leadership Faces Test as Treaty Clock Ticks     |     
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     

বৃষ্টির প্রভাবে অস্থির বাজার

গ্রীণওয়াচ ডেক্স কৃষি 2023-12-08, 1:09pm

resize-350x230x0x0-image-250995-1702016738-78a8aacdee085363257a369242ba49281702019361.jpg




ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে দেশব্যাপী বেশ কিছুদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টিপাত। এর ফলে অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার। বাজারে তুলনামূলক সবজি কম থাকায় ক্রেতাদের কাছে চড়া দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা।ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরছেন সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম এসেছে। তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যেখানে দুদিন আগেও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে শসা। বেগুনও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায়। শীতের সময়ের সবচেয়ে কম দামের সবজি ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে।

দেখা যায়, বাজারে টমেটো কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা। দুদিন আগেও কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে।

যদিও আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। ফলে দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি রয়েছে শাকের। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য দিনে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যেত। এ ছাড়াও লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। শুধু তাই নয় সোনালি মুরগির দামও বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সব ধরনের মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট, শাহজাহানপুর, মেরাদিয়া হাঁট, রামপুরা বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে অধিকাংশ দোকানে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারও আজ স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সৈকত ক্ষোভ প্রকাশ করে আরটিভি নিউজকে বলেন, শুক্রবার আসলেই মাছ, মাংস, সবজি সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। শীতের সবজি বাজারে চলে আসলেও দাম কমছে না কেন। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। অসহায়ের মতো বাধ্য হয়েই সবজি কিনতে হচ্ছে আমাদের।

এদিকে বেশি দামে সবজি বিক্রি করার কারণ জানিয়ে রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা খন্দকার আলিফ বলেন, বৃষ্টিতে আমাদেরও সবজি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সব ব্যবসায়ীরাই বৃষ্টির সময় কম কম সবজি কেনে। আবার পাইকারি বাজারেও সবজি কম থাকে। বৃষ্টির কারণে ঢাকায় সবজি ঢোকে না বললেই চলে। যে কারণে বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।