News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

আলুর উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না কৃষক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কৃষি 2025-02-20, 7:45pm

rtwtwt-e3b04e79fe3d767e107af0219207f45d1740059133.jpg




অপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনায় বরাবরই ক্ষতির মুখে কৃষক। গেল বছর আলুতে ভালো দাম পাওয়ায় এবার আবাদ বাড়িয়েছেন। কিন্তু উঠছে না উৎপাদন খরচও। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ন্যায্য দাম না পেলে ফসল ফলাতে নিরুৎসাহিত হবে কৃষক। দেশ পড়বে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে। আসছে দিনগুলোতে আলুর দাম বাড়বে বলে আশা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের।

দেশে আলুর চাহিদার একটি বড় অংশের জোগান দেয় মুন্সীগঞ্জ। এই জেলার আলু মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে ওঠে। গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারে দুই একর বেশি জমিতে আলুর আবাদ করেছেন সিরাজদিখান উপজেলার কৃষক মোজাম্মেল ব্যাপারি। তবে, বাজারে দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় আলু তুলবেন কিনা ভাবছেন। সঙ্গে আছে কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ার খরচের চাপ।

মোজাম্মেল ব্যাপারি বলেন, ‘কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া এবার নাকি বাড়াবে শুনছি। উৎপাদনে যে খরচ হয়েছে এবং বর্তমানে বাজার দাম যেভাবে কমছে এতে বোঝা যায় না চাষিরা লাভবান হবে।’

মুন্সীগঞ্জে যখন আলু চাষিরা ফসল তোলা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে, তখন আগাম আলু চাষের এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা ইতোমধ্যেই পড়েছেন লোকসানে। সরকারি হিসেবে এবার কেজি প্রতি আলুর উৎপাদন খরচ ১৫ টাকা। গেল বছর ছিল ১৩ টাকা।

তবে, উত্তরবঙ্গের কৃষকরা জানাচ্ছেন, তাদের খরচ প্রায় ২০ টাকা। অথচ দাম মিলছে ১০-১২ টাকা কেজি। এই আলু ঢাকায় পাইকারিতে ১৫-১৭ টাকা ও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা।

কয়েজন আলু চাষি বলেন, এ বছর এতো লস হবে কল্পনার বাইরে ছিল। বিঘা প্রতি উৎপাদনে ১৫-৩০ হাজার টাকা লস। সরকার যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয় তাহলে কৃষকের উপকার হবে।

দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। ৮০ টাকা কেজি দরে কৃষককে বীজ আলু কিনতে হয়েছে। এছাড়া বেড়েছে সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণের দামও। চলতি অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পাঁচ লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। সামনে দাম বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

গত মৌসুমে আলু উৎপাদিত হয়েছিল এক কোটি নয় লাখ টনের কাছাকাছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক শওকত ওসমান বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক কৃষক মার্কেটিং করায় এবং বাজারে সহজলভ্যতার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু যখন কোল্ড স্টোরেজে বেশিরভাগ আলু ঢুকে যাবে, তখন তারা কিছুটা হলেও দাম বেশি পাবে।’

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘ফসলের ন্যায্য দাম পেতে কৃষকদের সরাসরি বাজারে যুক্ত করার পথ সহজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কৃষিব্যবস্থাপনার পরিসর বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।’

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কৃষকদের চুক্তিভিক্তিক ফার্মিংয়ে উৎসাহিত করতে পারি। তাহলে আগামীতে ফসল সংরক্ষণের একটি ব্যবস্থা হবে। বাজার স্থিতিশীল এবং কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যাবে।’  সময় সংবাদ