শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেছেন, একটি উদ্ধার প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে তার দেউলিয়া দেশটির আলোচনা সফলভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর আগে তিনি একটি সংশোধিত বাজেট পেশ করেন, যার লক্ষ্য হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কর বৃদ্ধি করা।
আইএমএফের একটি দল এখন শ্রীলংকা সফর করছে। আশা করা হচ্ছে বুধবার বর্তমান পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে।
শ্রীলংকার মোট বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ১শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশটিকে ২ হাজার ৮শ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে।
শ্রীলংকা এখন তীব্রতম অর্থনৈতিক সংকট পার করছে। বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতির কারণে কয়েক মাস ধরে জ্বালানি, ওষুধ এবং রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দেওয়ায়,এই অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়।
বিক্রমাসিংহে বলেন, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কর্মসূচি শুরু করেছে। তিনি বলেন, স্কুলগুলো আবার খুলেছে এবং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবার পাঠদান শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, একটি কোটা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, গত সপ্তাগুলোতে জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছিল। আগের সেই পরিস্থিতি আবার ফিরে এসেছে।
তিনি মুদ্রাস্ফীতিকে একটি এক অংকের মাঝামাঝি স্তরে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া, বিদ্যমান ১২ শতাংশ মূল্য সংযোজন করকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর, মে মাসে অনুমোদিত অন্যান্য কর শীঘ্রই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বিক্রমাসিংহে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে তাদের মূল তাঁবু ভেঙে দিয়েছেন। প্রতিবাদকারী একজন নেতাকে আটক করার জন্য কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি ব্যবহারের ফলে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।