News update
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     
  • Sirajganj’s luxuriant mustard fields bloom as an oasis of gold     |     

নোয়াখালীতে গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১৮ শিক্ষার্থী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2024-04-29, 11:27am

img_20240429_113132-f07f961aafd3de9600d35fe29efff1321714368735.jpg




নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া দশটা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল দশটার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। এক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন অষ্টম শ্রেণির দুইজন নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুইজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারও পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণিশিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান। তিনি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা গরমের কারণে সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।

অপরদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাইস্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।