Some coordinators of the job quota reform movement addressed a press conference on Tuesday.
আপনারা জানেন, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। কয়েকজন সমন্বয়ককে গুম করে ফেলা হয়েছে। অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদকে গত ৫ দিন ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস অবস্থায় গুম করে নির্যাতন করা হয়েছে এবং আজকে চোখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানালার পাশে পড়ার সময় কোমলমতি শিশু সামিরকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি স্কুল ও কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর নেক্কারজনক হামলা চালিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত ও শহীদ করা হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই শুধুমাত্র আদালতের রায় ও প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে সরকার দেশব্যাপী চালানো মানুষ হত্যার দায় এড়াতে পারে না। আমাদের ৯ দফা দাবী এখন গণমানুষের দাবীতে পরিণত হয়ছে। এটি এখন গোটা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ৷
৯ দফা দাবী আদায়ে নতুন কর্মসূচী, ২৫/০৭/২০২৪ দেশব্যাপী গণসংযোগ
৯ দফা দাবী: ১। প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে ।
২। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক -কে মন্ত্রীপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
৩। ঢাকা সহ যত জায়গায় শহিদ হয়েছে সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরদের পদত্যাগ করতে হবে।
৫। যে পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ যে সকল সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা পরিচালনা করেছে এবং পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে আটক করে এবং হত্যা মামলা দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার দেখাতে হবে।
৬। দেশব্যাপী যে সকল শিক্ষার্থী ও নাগরিক শহিদ ও আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদাণ করতে হবে ।
৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামক সংগঠনসহ সকল দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্রসংসদকে কার্যকর করতে হবে।
৮। অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হলসমূহ খুলে দিতে হবে।
৯। কোটা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোন ধরনের হয়রানি করা হবে না মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি