সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমবে এবং শিক্ষার্থীরাও জটিলতা থেকে মুক্তি পাবে। অন্যদিকে, সংকট নিরসনে গঠিত কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলছেন, সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে। দ্রুতই এনিয়ে সুপারিশ দেবেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে অধিভুক্ত হয় ঢাকার সাতটি কলেজ। এরপর থেকেই সেশন জট, দেরিতে ফল প্রকাশসহ জটিলতার জালে আটকা পড়েছেন দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। ওই বছরই পরীক্ষার রুটিনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের টিয়ারশেলে চোখ হারান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান।
এরপর বছর গড়িয়েছে, কিন্তু সংকটের সুরাহা হয়নি। কেউ যখন এগিয়ে আসেনি তখন শিক্ষার্থীরাই বের করেছেন সমাধান। এসব কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
শিক্ষা উপদেষ্টা, ভিসি, ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ কলেজগুলোর অধ্যক্ষর কাছেও স্মারক লিপি দেন তারা। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ দেয়ার নির্দেশ দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমাদের সবার মূল জায়গা শিক্ষার্থীরা যাতে কষ্ট না পায়। যে কারণে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে, সমস্যাগুলো জটিল এবং এগুলোর সুষ্ঠু সমাধান কী হতে পারে, তা বিবেচনায় সময়ের প্রয়োজন। তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে।
শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলছেন, এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর বাড়তি চাপ সামাল দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কঠিন। তাই সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত একটি সমাধানের পথ বের করতে হবে।
এই সাত কলেজ ছাড়াও বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় শতাধিক কলেজ ও ইনস্টিটিউট অধিভুক্ত আছে। সময় সংবাদ।