ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ ও এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান জয়ের পথে রয়েছেন। প্রাপ্ত কেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া ফলাফলে সাদিক কায়েম নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে দিগুণের চেয়ে বেশি ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ঘোষিত ৭টি ভোটকেন্দ্রের ১৬টি হলের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মহিউদ্দিন খান।
ডাকসু নির্বাচনে মোট আটটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এসব ভোটকেন্দ্রে মোট ১৮টি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রগুলো হলো কার্জন হল কেন্দ্র, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র্র, টিএসসি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র, সিনেট ভবন কেন্দ্র, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র।
সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে তিনিও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। এছাড়া ছাত্রদলকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। শুধু জগন্নাথ হল ব্যতীত সবগুলো হলেই বড় ব্যবধানে জয় পান সাদিক কায়েম। জগন্নাথ হলে তিনি পান মাত্র ১০টি ভোট। অপরদিকে আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রাহণ চলে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।