News update
  • Another July warrier shot in head, critical in Khulna hospital     |     
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     

সাকিবের অধীনে টেস্টে নতুন যুগ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2022-06-15, 5:00pm





সাম্প্রতিক ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে সাফল্যের ট্রাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। তবে একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোথাও সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় এটি  বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিদের হতাশার।

তবে সব কিছু মিলিয়ে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে নতুন যুগের সূচনা করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে যাচ্ছেতাই পারফরমেন্সের কারণে মোমিনুল অব্যাহতি নিলে তার জায়গায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান সাকিব।

সাকিব নতুন করে অধিনায়ক হওয়াতে টেস্ট ফরম্যাটে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার  নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বাংলাদেশের। কারন এই ফরম্যাটে ব্যর্থতার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগাররা। ২০০০ সালে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে প্রবেশের পর এখন পর্যন্ত ১৩২টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশে। জয় আছে মাত্র ১৬টি, ম্যাচ হার ৯৮টি। এরমধ্যে ৪৫টি ইনিংস ব্যবধানে হার রয়েছে তাদের। তবে ১৮টি টেস্ট ড্র করেছে, যার বেশিরভাগই বৃষ্টির কারনে।

তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাকিব। আর সম্ভবত, এটিই শেষবারের মত হবে। সবারই প্রত্যাশা  তার অধীনে এই ফরম্যাটে পুনরুজ্জীবিত হবে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের কলামে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘সাকিব যদি সত্যিই চান, তবে টেস্টে বাংলাদেশ দলের গতিশীলতা পরিবর্তন করতে পারেন তিনি।’

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় প্রথমবার অধিনায়ত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। পরে সাকিবের নেতৃত্বে দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছিলো বাংলাদেশ।

এরপর ২০১১ সালে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সাকিবকে। কিন্তু ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে আবারও অধিনায়কত্ব পান তিনি। ২০০৯ সালের সাকিবের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত ২-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ঐ সিরিজই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জয়।

এখন দেখার বিষয়, পরিচিত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আবারও অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের ফেরায় ভাগ্য বদল হয় কি-না বাংলাদেশের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ৪টি, হার ১০টি ও ড্র ২টিতে।

একটি বিপর্যয়ের পর অবশ্যই ভাগ্যের পরশ দরকার পড়ে। ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাড়াহুড়া করে অধিনায়কত্ব পান মোমিনুল। জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তথ্য না জানানোয় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব।

মোমিনুলের অধীনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় আছে বাংলাদেশের। তবে বেশ কিছু ম্যাচ তারা হেরেছে, যেগুলোতে তাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল। মোমিনুলের অধিনায়কত্বে বেশির ভাগ ম্যাচেই জয়ের  অবস্থাতে থেকেও হেরেছে বাংলাদেশ।

বাজে  ফর্মের কারণে মোমিনুল  দলকে অনুপ্রাণিত করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। টানা সাত ইনিংসে এক ডিজিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে মোমিনুলের রান। আর সর্বশেষ ১৫ ইনিংসের মধ্যে ১২বারই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি তিনি।

অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের প্রথম কাজ হবে ব্যর্থতার কারনে বারবার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরা টাইগার দলে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। 

মাশরাফি লিখেছিলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে গণনা করার মতো শক্তিতে পরিণত করতে পারেন, একমাত্র সাকিবই। টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করতে হলে, সাকিবের মতো কাউকে অধিনায়ক করা উচিত কারণ পুরো বিশ্ব তার দক্ষতা জানে।’

যদিও প্রথম টেস্টের স্পটলাইটে  ছিলো সাকিবের অধিনায়কত্বই।  তবে ইনজুরির কারনে ইয়াসির আলি ছিটকে পড়ায় বড় চিন্তায় ভাঁজ বাংলাদেশের কপালে। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় ইয়াসিরকেই ভেবে রেখেছিলো বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তার অনুপস্থিতি মিডল-অর্ডারে শুন্যতা তৈরি করেছে।

পবিত্র হজ পালনের জন্য মুশফিকের অনুপুস্থিতি বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতি। কারণ টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল-অর্ডারে লিটন দাসের সাথে জমজমাট জুটি গড়ে তুলেছিলেন মুশি। সম্প্রতি শেষ দুই টেস্টে ২৫ রানের মধ্যে চার/পাঁচ উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের টেস্ট হারের প্রধান কারন বলে মনে করেন দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

সাকিব-ডোমিঙ্গো জুটির প্রথম কাজ হবে, দলকে তৈরি করা। কারণ একটি নতুন টেস্ট যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোমিনুল হক, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, মুস্তাফিজুর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল : ক্রেইগ ব্রাথওয়েট (অধিনায়ক), জারমেইন ব্ল্যাকউড, এনক্রুমার বোনার, জন ক্যাম্পবেল, জশুয়া দা সিলভা, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্র্স, গুদাকেশ মোটি, এন্ডারসন ফিলিপ, রেমন রেইফার, জেইডেন সিলেস ও ডেভন থমাস। তথ্য সূত্র বাসস।