News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

হারের সেঞ্চুরিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2022-06-28, 3:21pm

image-48107-1656406352-b2c36bf5c750a5df7581a21efcee609b1656408116.jpg




সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে  ১৩৪তম ম্যাচে এটি  শততম হার টাইগারদের। এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্ট ৭ উইকেটে হেরেছিলো টাইগাররা। 

ড্যারেন স্যামি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই হার দেখছিলো  টাইগাররা। ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করেছিলো টাইগাররা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৪২ রানে পিছিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। 

চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই বৃষ্টির দাপট ছিলো সেন্ট লুসিয়ায়। প্রথম সেশন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় সেশনের অনেক সময় চলে যায় বৃষ্টির দখলে। অবশেষে পাঁচ ঘন্টার পর স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় মাঠের লড়াই শুরু হয়। এতে চতুর্থ দিন বাকী আড়াই ঘন্টায় ৩৮ ওভার খেলা বাকী থাকে। 

এ অবস্থায় ব্যাট হাতে লড়াই শুরু করেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। নুরুল ১৬ ও মিরাজ শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।

নুরুল ও মিরাজের ১টি করে চারে দিনের প্রথম ১৯ বলে ১৬ রান পায় বাংলাদেশ। ৪০তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেও, আলজারি জোসেফের পরের ডেলিভারিতে হার মানেন মিরাজ। জোসেফের বাউন্সারে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২০ বলে ৪ রান করা মিরাজ। নুরুলের সাথে ৩০ রানের জুটিতে মাত্র ৪ রানই অবদান ছিলো তার। 

১৪৮ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর মারমুখী হয়ে উঠেন নুরুল। কারন ইনিংস হারের পথটা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন তিনি। এমন অবস্থায়  ৪১তম ওভারে কেমার রোচকে প্রথমে ওভার বাউন্ডারি  ও পরে বাউন্ডারি মারেন নুরুল। ম্যাচে বাংলাদেশ পক্ষে প্রথম ছক্কা আসে নুরুলের কাছ থেকে। পরের ওভারে আবারও দু’টি বাউন্ডারি আসে নুুরুলের ব্যাট থেকে। এবার বোলার ছিলেন জোসেফ। 

নন-স্ট্রাইকে থেকে নুরুলের মারমুখী ব্যাটিং দেখতে থাকা, এবাদত ৪৩তম ওভারে বিদায় নেন।  সিলেসের পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন এবাদত। সামান্য পেছনে দৌঁড়ে ঝাপ দিয়ে দারুন ক্যাচ দেন রেইমন রেইফার। ৭ বল খেলে খালি হাতে ফিরেন এবাদত। 

ঐ ওভারের তৃতীয় বল থেকে অতিরিক্ত হিসেবে ৫ রান পেলে, ইনিংস হার এড়ায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ বলে বাংলাদেশের দশম ব্যাটার শরিফুল ইসলামকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন সিলেস। রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি শরিফুল। খালি হাতে ফিরেন শরিফুলও। 

জোসেফের করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে ৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন নুরুল। ৪০ বলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পা রাখেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ক্যারিয়ারে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি নুরুলের। আর তৃতীয় বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন নুরুল। 

আর ৪৫তম ওভারের শেষ বলে রান নিতে গিয়ে রান আউট হন শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদ। ফলে ৪৫ ওভারে ১৮৬ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। খেলা শুরুর পর মাত্র ৫০ মিনিটে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের এই ইনিংস। এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৩ রানের টার্গেট দিতে পারে বাংলাদেশ। 

৫০ বল খেলে ৮৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ-জোসেফ-সিলেস ৩টি করে উইকেট নেন। 

১৩ রানের সহজ টার্গেট মাত্র ১৭ বল খরচ করেই স্পর্শ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল। তবে দ্বিতীয় ওভারেই এই জুটি বিচ্ছিন্ন হতে পারতো। কিন্তু ফাইন লেগে ক্যাম্পবেলের ক্যাচটি ধরতে পারেননি এবাদত। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন ক্যাম্পবেল। ক্যাম্পবেল ৯ ও ব্র্যাথওয়েট ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। 

ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স। এই টেস্টে ১৪৬ রান ও ২ উইকেট নেন তিনি। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে  ১৫৩ রান ও  বল হাতে ৬ উইকেট নিয়েছেন মায়ার্স। 

আগামী ২ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এই সিরিজ জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ ম্যাচে ৪ জয়, ৩ হার ও ২ ড্রতে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ১০ ম্যাচে ১ জয়, ৮ হার ও ১ ড্রতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম ও শেষ দল বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া।

স্কোর কার্ড : (টস-ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৩৪/১০, ৬৪.২ (লিটন ৫৩, তামিম ৪৬, জোসেফ ৩/৫০)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : ৪০৮/১০, ১২৬.৩ ওভার (মায়ার্স ১৪৬, খালেদ ৫/১০৬) :

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস (আগের দিন ১৩২/৬, ৩৬ ওভার, নুরুল ১৬*, মিরাজ ০*) :

তামিম ইকবাল ক ডা সিলভা ব রোচ ৪

মাহমুদুল হাসান জয় ক ব্লাকউড ব রোচ ১৩

নাজমুল হোসেন শান্ত ক ডা সিলভা ব জোসেফ ৪২

এনামুল হক এলবিডব্লু ব রোচ ৪

লিটন দাস এলবিডব্লু ব সিলেস ১৯

সাকিব আল হাসান ক ক্যাম্পবেল ব জোসেফ ১৬

নুরুল হাসান অপরাজিত ৬০

মিরাজ ক ডা সিলভা ব জোসেফ ৪

এবাদত ক রেইফার ব সিলেস ০

শরিফুল এলবিডব্লু ব ব সিলেস ০

খালেদ রান আউট (ক্যাম্পবেল) ০

অতিরিক্ত (বা-৯,লে বা-১, নো-৩, ও-১১) ২৪

মোট (অলআউট, ৪৫ ওভার) ১৮৬

উইকেট পতন : ১/৪ (তামিম), ২/২২ (জয়), ৩/৩২ (আনামুল), ৪/৫৭ (লিটন), ৫/১০৪ (শান্ত), ৬/১১৮ (সাকিব), ৭/১৪৮ (মিরাজ), ৮/১৬৯ (এবাদত), ৯/১৭৪ (শরিফুল), ১০/১৮৬ (খালেদ)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং :

রোচ : ১৩-১-৫৪-৩ (নো-১),

জোসেফ : ১৪-২-৫৭-৩ (ও-২),

ফিলিপ : ৫-১-২৩-০ (নো-১),

সিলেস : ৮-২-২১-৩ (ও-১, নো-১),

মায়ার্স : ৫-১-২১-০।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস : (টার্গেট- ১৩)

ব্র্যাথওয়েট অপরাজিত ৪

ক্যাম্পবেল অপরাজিত ৯

অতিরিক্ত 

মোট (বিনা উইকেট, ২.৫ ওভার) ১৩

বাংলাদেশ বোলিং :

এবাদত : ১.৫-০-৯-০,

খালেদ : ১-০-৪-০।

ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : কাইল মায়ার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

সিরিজ সেরা : কাইল মায়ার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তথ্য সূত্র বাসস।