বাংলাদেশের বোলিং তোপে শুরুতেই ব্যর্থ শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে একাই টেনে নিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। দলের অন্য ব্যাটাররা যখন আসা যাওয়ার মাঝেই আছেন, সেখানে দারুণ ব্যাটিংয়ে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এছাড়া সামারাবিক্রমা-নিশাঙ্কার ইনিংসে ভর করে ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে টাইগারদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে চলমান বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন মিডল অর্ডার ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা।
এদিন বল হাতে ইনিংসের শুরুতেই উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরার ব্যাটের কানায় লাগলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম বাম সাইডে লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন। এতে মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর পাথুম নিসাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। দ্বিতীয় উইকেটে তারা দুজনে মিলে ৬১ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিতও দেন। তবে পরপর দুই ওভারে এই দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে টাইগাররা।
১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সাকিবের করা তৃতীয় বলটি সজোরে হাঁকিয়েছিলেন মেন্ডিস। দেখে মনে হচ্ছিল, বাউন্ডারি পেরিয়ে যাচ্ছে তার হাঁকানো শটটি। তবে লগ-অন প্রান্তে তা তালুবন্দি করেন শরিফুল। এতে উড়তে থাকা মেন্ডিসকে ১৯ রানেই ফেরান টাইগার অধিনায়ক।
পরের ওভারেই লঙ্কান ওপেনার নিশাঙ্কাকে ফিরিয়েছেন বিশ্বকাপের আসরে অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিব। তার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন নিশাঙ্কা। ৩৬ বলে ৪১ রানে থামেন তিনি। এতে ৭২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা।
তবে এরপর সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশের মাথাব্যথা বেড়েই যাচ্ছিল। সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে লঙ্কান ঝড় থামান সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকারে দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় তারা। সামারাবিক্রমা থামেন ব্যক্তিগত ৪১ রানে।
তার আউট হওয়ার পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে অলসভাবে মাঠে ঢুকেন। কিন্তু আইসিসির নির্ধারিত ৩ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরও ক্রিজে না আশায় আম্পায়ারের কাছে টাইমড আউটের আবেদন করেন সাকিব। ম্যাথুজকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়াররা। এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার এমন আউটের ঘটনা ঘটে।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৮০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম প্রত্যেকে পান ২টি করে উইকেট। এছাড়া অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ১টি উইকেট। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।
আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে টাইগারদের চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কার