News update
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     

মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে চ্যাম্পিয়ন বরিশালের দুর্দান্ত জয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-12-30, 6:35pm

barisa-cb7cda9b0c97672279bda3df0339c7d51735562138.jpg




ইনিংসের অর্ধেকটা সময় পরও মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা বুঝি দুর্বার রাজশাহীর হাতে। নতুন দল হিসেবে ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহ গড়ে ফরচুন বরিশালকে প্রায় হারানোর পথে ছিল রাজশাহী। কিন্তু, চ্যাম্পিয়ন বলে কথা! শেষের আগে হার মানবে কেন বরিশাল! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ব্যাটে চড়ে খাদের কিনার থেকে উঠে আসে বরিশাল। তুলে নেয় চার উইকেটের দুর্দান্ত জয়।

বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রাজশাহী। ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৯৭ রান তোলে দলটি। জবাবে ১৮.১ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে বরিশাল। জয় দিয়ে আসরের শুভসূচনা করে।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যর্থ হন। ইনিংসের প্রথম বলেই জিসান আলমের শিকার হন শান্ত। লেগবিফোর হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। তাসকিন আহমেদকে একটি ছক্কা মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। তবে, তাসকিনের বলেই লেগ বিফোর হওয়া তামিম করেন সাত রান।

তাওহিদ হৃদয় চেয়েছিলেন ম্যাচ ধরতে। ২৩ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। হাসান মুরাদের শিকারে পরিণত হলে বিপদ বাড়ে বরিশালের। ৬১ রান তুলতেই হারায় পাঁচ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে শাহিন আফ্রিদিকে নিয়ে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে আসে ৫১ রান। ১৭ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় ২৭ রান করেন শাহিন। তাকে ফেরান তাসকিন।

এরপর ক্রিজে আসা ফাহিম আশরাফকে নিয়ে রীতিমতো ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। অবিচ্ছিন্ন ৮৮ রান তুলে এই জুটিই শেষ করেন ম্যাচ। ২৬ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। ফাহিম ছিলেন আরও আগ্রাসী। ২১ বলে একটি চার ও সাতটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।

রাজশাহীর পক্ষে চার ওভারে ৩১ রানে তিন উইকেট নেন তাসকিন। হাসান মুরাদ দুটি ও এক উইকেট পান জিসান।

এর আগে বল হাতে বরিশালের শুরুটা হয় চমৎকার। দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেয় রাজশাহীর ওপেনার জিসান আলমের উইকেট। রানের খাতা খোলার আগে কাইল মায়ার্সের বলে বোল্ড হন জিসান। রাজশাহীর দ্বিতীয় উইকেটটিও তুলে নেন মায়ার্স। ১৩ রান করে মোহাম্মদ হারিস ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন মায়ার্সের হাতে।

২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দমে যায়নি রাজশাহী। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি মিলে ১৪০ রানের বড় জুটি গড়েন। কক্ষপথে ফেরে দল। ৫১ বলে ৬৫ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নেন ইয়াসির। ৪৭ বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিজের ইনিংস সাজান সাতটি চার ও আটটি ছক্কায়।

বরিশালের পক্ষে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন মায়ার্স। এই তারকা তিন ওভারে ১৩ রানে দুই উইকেট শিকার করেন। বাকিরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। এক উইকেট পেলেও ফাহিম দেন চার ওভারে ৪২ রান। এনটিভি।