সময়টা ভালো কাটছে না লিটন দাসের। বাজে ফর্মের কারণে গত বছর দেশের মাটিতেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। পড়ে দলে ফিরলেও ছন্দ ফিরে পাননি লিটন। দুঃস্বপ্নের বছর কাটিয়ে নতুন বছরে নতুন করে নিজেকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও শুরুটা ভালো হলো না তার। নতুন বছরে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে উল্টো লজ্জার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লিটন।
ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা এবারের বিপিএল শুরুর আগে জানিয়েছিলেন, লিটন দাসই তাদের প্রধান অস্ত্র। আসরের প্রথম ম্যাচে ৩০ রান করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও নতুন বছরে ফের পুরনো রূপে হাজির এই উইকেটকিপার। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ডাক মেরেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের এই ওপেনার। তার দলও ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। তাতে আসরের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল ঢাকা।
মিরপুরে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান লিটন। তাসকিন আহমেদের ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এদিন ডাক মেরে বিপিএলে এক লজ্জার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লিটন। টপ অর্ডারে ব্যাট করে সর্বোচ্চবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লিটন। এই নিয়ে ১০বার রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এক থেকে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করে লিটনের সমান শূন্য রানে আউট হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এনামুল হক বিজয়েরও।
লিটন আজ ডাক মারলেও বিজয় অবশ্য দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ওয়ান ডাউনে নেমে ৪৬ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৭৩ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক।
তবে ব্যাটিং পজিশনের হিসেব সরিয়ে রাখলে বিপিএলে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক বিজয়ই। ১২১ ম্যাচে ১৩বার ডাক মেরেছেন বিজয়। ১১বার ডাক মেরে তার পরেই আছেন সৌম্য সরকার এবং বিপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তাদের পরেই আছেন লিটন। লিটনের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন ইমরুল কায়েস।
দুঃসময় কিছুতেই কাটছে না লিটনের। জাতীয় দল ও বিপিএল মিলিয়ে শেষ ছয় ইনিংসের তিনটিতেই রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজে অধিনায়কত্ব করা লিটন দুই ম্যাচেই মেরেছিলেন ডাক। সময়