দলে কোনো বড় তারকা না থাকায় দুর্বার রাজশাহীকে ‘দুর্বল’ রাজশাহী হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিল নেটিজেনরা। এ ছাড়াও পেমেন্ট জটিলতাসহ নানান কারণে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আলোচনায় রয়েছে দলটি। তবে কিছু দূরে সরিয়ে মাঠে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাসকিন-বিজয়রা।
ব্যাটে-বলে পারফরম করে গ্রুপ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী। রংপুরকে টানা দুই হারানোর পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তাসকিনের দল। ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিনে রয়েছে তারা। তবে প্লে-অফের জন্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে খুলনা ও চিটাগংয়ে বাকি ম্যাচগুলোর দিকে।
ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। আর বাকি দুটি জায়গার জন্য লড়াই করছে রাজশাহী, চিটাগং ও খুলনা। গ্রুপ পর্বে চিটাগংয়ের ৩ ম্যাচ এবং খুলনার ২টি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। চিটাগং যদি কোনো ম্যাচ না জেতে এবং খুলনা যদি একটিতে হারে তাহলেই প্লে-অফের টিকিট পাবে রাজশাহী।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে রাজশাহীকে ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সিলেট। জবাব দিতে নেমে ১৯ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজশাহী। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাব্বির হোসেন (০)। ৬ বলে ১১ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার জিশান আলম।
এ দিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী। এনামুল (০) এবং ইয়াসির ২ রানে আউট হলে দলীয় ২২ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। এরপর রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আকবর আলী।
দুজনের ব্যাটে ভর করে শুরু ধাক্কা সামলে জয়ের পথে এগিয়ে থাকে রাজশাহী। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি আকবর। ৩৮ বলে ৪৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ক্যাচ আউট হন এই তরুণ ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত এসএম মেহরবের ৫ রান এবং ৩৪ বলে রায়ান বার্লের অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে ১৯ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিলেট। ৯ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আরিফুল ইসলাম। ১২ বলে ৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন সাইমুল্লাহ শিনওয়ারি।
এরপর সাজ্জাদুল হক (০), জাকের আলী (১৭), জাকির হাসান (২৪), কাদেম অ্যালাইন (১) এবং তানজিম সাকিব ২ রানে আউট হলে দলীয় ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট।
সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলের দিনে লড়াই করতে থাকেন আহসান ভাট্টি। তাকে সঙ্গ দেন সুমন খান। শেষ পর্যন্ত আহসানের ২১ বলে ২৫ রান এবং সুমনের ১০ বলে অপরাজিত ২০ রানে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানের মামুলি পুঁজি পায় সিলেট। আরটিভি