News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

চিটাগংকে কাঁদিয়ে বিপিএলে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-02-08, 12:08am

sdfdfsfa-f1b517ed07e6f7087623186ab010bb9c1738951681.jpg




বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লাকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। তাই এবারের আসরে মাঠে নামার আগে তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল শিরোপা ধরে রাখা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে তামিম-মাহমদুউল্লাহরা। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে দক্ষিণবঙ্গের দলটি।

অন্যদিকে প্রায় এক দশক পর বিপিএলের ফিরেছিল চিটাগং কিংস। আসরে ফিরেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল তারা। এর আগে বিপিএলে দ্বিতীয় আসরে ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেবার ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কাছে ৫১ রান হেরে শিরোপা খুইয়েছিল চিটাগং। এবারেও একই হতাশা নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা।

ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আলিস আল ইসলামের অভাব হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছে দলটি। তবে শিরোপা জয়ের সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু ফাইনালের মতো ম্যাচে বাজে ফিল্ডিংয়ের মাশুলগুণতে হয়েছে সামির কাদির চৌধুরীর দলকে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও বরিশালের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে চিটাগং।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করে বরিশালকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ৪ বল এবং ৩ উইকেট হাতে থাকতে জয় তুলে নেয় বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলে বরিশাল। ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম।

নবম ওভারে শরিফুলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিথুন। এই ওভারের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে খেলা ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। ২৯ বলে ৫৪ রান করে ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হন তামিম। দুই বল পরে ডেভিড মালানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল।

এতে দলীয় ৭৮ রানে দুই উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হৃদয়। কিন্তু ১১তম ওভারে নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর বলে বলে বাউন্ডারি মেরে বরিশালকে এগিয়ে নিতে থাকেন কাইল মায়ার্স।

কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্সকে সাজঘরে পথ দেখান শরিফুল। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। এক বল পরে কট আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এতে শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ১৯তম ওভারে ১২ রান তোলে বরিশাল। এতে ৬ বলে বরিশালে দরকার ছিল ৮ রান। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ ড্র  করেন তিনি। তৃতীয় বলটি ওয়াইট করলে জয়ের উল্লাসে ভাসে বরিশাল।

চিটাগংয়ের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাঈম হাসান দুটি ও বিনুরা ফার্নান্দো এক উইকেট শিকার করেন তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন খাজা নাফি ও পারভেজ ইমন। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে চিটাগং। ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন।

অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন নাফিও। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই পাকিস্তানি ব্যাটারও। ২ ছক্কা ও ৬টি বাউন্ডারি হাকান তিনি। দুজনে মিলে ১২১ রানের জুঁটি গড়ে।

১৩তম ওভারে এবাদতের হাতে বল তুলে দেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় বলে নাফি বাউন্ডারি মারলেও পরের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে দেন নাফি। এতে ১২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় চিটাগং। এরপর পারভেজ ইমনকে সঙ্গ দেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

সময়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট চালানোর গতি বাড়িয়েছে এই দুই ব্যাটার। এদিন ইনিংসের মাঝে পায়ে ব্যথা পান গ্রাহাম। তারপরও বলে বলে রান নিতে থাকেন তিনি। কিন্তু ২০ ওভারে দ্বিতীয় বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

এক বল পরেই ক্যাচ আউট হন শামীম। শেষ পর্যন্ত ইমনের ৪৯ বলের অপরাজিত ৭৮ রানে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল চিটাগং কিংস। আরটিভি