বাংলাদেশ নারী দলের স্পিনার সোহেলী আখতারের বিরুদ্ধে আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন নীতিমালার ৫টি ধারা লঙ্ঘনের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সোহেলীকে নিষেধাজ্ঞার এ ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। তবে তার নিষেধাজ্ঞা চলতি মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। তিনি সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন ২০২২ সালে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ২০২৩ টি-২০ বিশ্বকাপের সময় তৎকালীন জাতীয় দলের ক্রিকেটার লতা মণ্ডলকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। তবে যে ক্রিকেটারকে অসাধু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তিনি সেই ফাঁদে পা না দিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে (আকসু) বিষয়টি জানান।
অনুসন্ধানের পর আজ (মঙ্গলবার) সোহেলীকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। ফিক্সিং সংক্রান্ত পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায়ে এই শাস্তি পেয়েছেন তিনি। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দায় স্বীকারও করে নিয়েছেন সোহেলী।
আইসিসির ২.১.১ ধারা বলে- দুর্নীতিতে জড়ানোর জন্য সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে কাউকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশ কিংবা উৎসাহ দেওয়া।
২.৪.৪ ধারার অধীনে দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব সম্পর্কে পুরো তথ্য দিয়ে আকসুকে (অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) সহায়তা না করার কারণে শাস্তি পেয়েছেন তিনি৷ এ ছাড়া ২.১.৩ ধারা অনুযায়ী কারো কাছ থেকে খেলাকে প্রভাবিত করার বিনিময়ে ঘুষ নেয়াও শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
এর বাইরে ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে আকসুকে না জানানোও বড় ধরনের অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। সেই সঙ্গে ২.৪.৭ ধারা অনুযায়ী আকসুর তদন্তে অসহযোগিতা, তথ্য গোপন করা ও নথিপত্র ও প্রমাণ নষ্ট করার মতো বিষয় রয়েছে।
আরটিভি