News update
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     
  • Khulna falls short of jute output target for lack of incentives     |     
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     

দেশেই তৈরি হলো হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের ওষুধ ‘ন্যাসভ্যাক’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-21, 10:16pm

image-42885-1653145236-3a231c19c2aa787cd8757ee7cdc0804e1653149807.jpg




দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হলো হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারের মাধ্যমে। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসা বিঞ্জানী ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) যৌথভাবে আবিষ্কৃত ‘ন্যাসভ্যাক’ নামক ওষুধ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। 
আজ বিশ^বিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে বিএসএমএমইউ’তে ন্যাসভ্যাকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়ালটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষনার উপর গুরুত্বারোপ করে এ বিষয়ে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি এমন বিশ^মানের গবেষকদের প্রশংসা করে বলেন
জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেতৃত্ব দিবে।
অনুষ্টানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটির প্রধান গবেষক ও বিশ^বিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ট্রায়ালটি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন।
অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও ন্যাসভ্যাকের অন্যতম উদ্ভাবক ডা. শেখ মো.ফজলে আকবর, লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ নুর-ই-আলম (ডিউ),বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মাহমুদুল হক পল্লব এবং ক্লিনিক্যাল রিসাচ অর্গানাইজেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন।
বিশ^বিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিভার বিভাগর চেয়ারম্যান ডা. মো.আইয়ুব আল মামুন।
বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ ন্যাসভ্যাক দেশে উৎপাদনের জন্য এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। আশা করা যায়, শিগগির বাংলাদেশে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিরা ন্যাসভ্যাক ব্যবহার করে সুফল পাবেন। এরই মধ্যে কিউবাসহ বিশে^র একাধিক দেশে ন্যাসভ্যাক ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি জাপানের একাধিক পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে জাপানী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্ত রোগিদের ওপর ন্যাসভ্যাকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে এবং সুফল পাওয়া যাচ্ছে। 
বাংলাদেশের মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের নেতৃত্বে ন্যাসভ্যাকের ফেইজ-১,২ এবং ৩ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো অনুষ্টিত হয়েছিল। সম্প্রতি ‘প্যাথোজেন্স এবং ভ্যাকসিন্স’ নামক দু’টি শীর্ষ বৈজ্ঞানিক জার্নালে ন্যাসভ্যাকের দুই এবং তিন বছরের ফলোআপ ডাটাও প্রকাশিত হয়েছে। এ সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, লিভার সিরোসিস প্রতিরোধে ন্যাসভ্যাক অন্যতম কার্যকরি ওষুধ। তা ছাড়া এটি একটি ইমিউন থেরাপী যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস ও লিভার রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ন্যাসভ্যাকই পৃথিবীর প্রথম ইমিউন থেরাপী যা হেপাটাইটিস-বি তথা যে কোনো ক্রণিক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদ হিসেবে প্রথম বারের মতো একটি ফেইজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে। 
উল্লেখ্য, ন্যাসভ্যাক ভারত এবং চীনের মতো দেশকে ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে নিজ দেশে নিজস্ব উদ্ভাবিত ওষুধ অনুমোদনের অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। তথ্য সূত্র বাসস।