News update
  • Man held for tying, beating up youth on theft suspicion in Gazipur     |     
  • Sajid (2) lifted after 32 hrs from deep Rajshahi well, not alive     |     
  • Spinning sector seeks urgent govt step to prevent collapse     |     
  • Dilapidated bridge forces Lalmonirhat residents to risk life daily     |     
  • High-level consultation to shape BD climate finance strategy     |     

কালীগঞ্জ ইউএনও শিশু শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে বেড়ে খাওয়ালেন

আহমেদ নাসিম আনসারী, ঝিনাইদহ খবর 2022-09-16, 10:46pm

শিশু শিক্ষার্থীদের দুপুরের রান্না খাবার নিজ হাতে বেড়ে দিচ্ছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন



ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অজপাড়া গ্রামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে প্রায় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে দুপুরের রান্না খাবার খাওয়ালেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি উপজেলার জটারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে মিড ডে মিলের ওই খাবার পরিবেশন করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন জানান, সকালে বাড়ী থেকে খাবার খেয়ে ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা দুপুর-বিকাল পর্ষন্ত ক্লাস করে। এদের অনেকেই আবার সাথে করে টিফিন না আনায় ক্ষুধায় কষ্ট পায়। তাই শিশুদের কষ্ট লাঘবের জন্যই মাঝে মাঝে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহায়তাই এসব আয়োজন হয়ে থাকে। তিনি বলেন, শিশুরা আমার সন্তানের মত। তাদেরকে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করে খাওয়াতে পারায় আমি নিজেও আনন্দিত।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ফিরোজ মেডিকেল এন্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাজেদুর রহমান, ফিরোজ মেডিকেল এন্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ সহ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।

বিদ্যালয়েই রান্না করে শিশু শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর বিষয়ে ইউএনও আরো জানান, করোনার কারনে অনেক স্কুলেই শিশু শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। তাই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুপুরের খাবার উৎসব করে শিশু শিক্ষার্খীদের বিদ্যালয়মুখী করে ঝরে পড়া রোধ করাও সম্ভব।

মাতৃস্নেহের এমন ভূকিায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা তার ভূয়সি প্রশংসা করেছেন।