সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধ বিজ্ঞাপন দিয়ে বাংলাদেশে এসে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বনানী থানায় অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
ভারতীয় ওই চিকিৎসকের নাম ডা. রীনা গুপ্ত। বিজ্ঞাপনে তিনি নিজেকে ফার্টিলিটি (বন্ধ্যাত্ব) বিশেষজ্ঞ হিসেবে দাবি করেছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আরমান হোসেন স্বাক্ষর করা বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সংগৃহীত বিজ্ঞপ্তি (ফটোকপি সংযুক্ত) ভারতীয় চিকিৎসক ডা. রীনা গুপ্ত (ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ, বেবি সায়েন্স, নিউ দিল্লি) শনিবার (১১ মার্চ) বনানীর বিটিআই আর্মিটেজের (হাউজ-৭৭, রোড-১২) ঠিকানায় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবেন। তবে, উল্লেখিত বিদেশি চিকিৎসক বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত নয়, যে কারণে চিকিৎসা কার্য পরিচালনা ও ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শ প্রদান করলে তা হবে আইনের পরিপন্থি। এই বিষয়ে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে আছে- ‘২২ নিবন্ধন ব্যতীত এলোপ্যাথি চিকিৎসা নিষিদ্ধ- (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধন ব্যতীত, কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এলোপ্যাথি চিকিৎসা করিতে, অথবা নিজেকে মেডিকেল চিকিৎসক বা ক্ষেত্রমত, ডেন্টাল চিকিৎসক বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারিবেন না। (২) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে, তা অপরাধ হবে। তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।’ তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।