Urdu speaking people demand education, job quota
শনিবার ( ৬ নভেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ জাতীয় শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় কাউন্সিলে উর্দুভাষীদের উচ্ছেদের পূর্বে স্থায়ী পুনর্বাসন, কর্ম প্রশিক্ষণসহ পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে তাদের সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় কোটা সুবিধা প্রদানসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি মো. ইমরান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, উর্দু স্পীকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্টের সভাপতি মো. সাদাকাত খান ফুক্কু, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাকিল, দপ্তর সম্পাদক শেখ নাজের উদ্দীন রাশেদ প্রমুখ।
সেমিনারে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, উর্দুভাষীরা এ দেশের নাগরিক। বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাদের বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করে দেয়াটা অমানবিক। তাদেরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পুনর্বাসনসহ সকল সমস্যা সমাধানে উর্দুভাষী নেতাদের সরকারের সাথে আলোচনায় বসার পরামর্শ দেন তিনি।
সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান বলেন, কিছুদিন পূর্বে শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উর্দুভাষীদের পুনর্বাসনের উদ্যেগ নিয়েছেন। ভেবেছিলাম এ জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের কষ্টের জীবেনর অবসান হতে চলেছ। কিন্তু এখন শুনছি তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উর্দুভাষী নাগরিকদের আটকেপড়া পাকিস্তানি ও দেশের বোঝা হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাষ্ট্রকে এ বিষয়টি অত্যন্ত মানবিকতার সাথে সমাধান করা উচিত।
উর্দুভাষীদের নেতা সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘদিন এ জনগোষ্ঠী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে পিছিয়ে ছিল। ২০০৮ সালে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এখন এ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করলে তারা স্বাবলম্বী হয়ে দেশের সম্পদে রুপান্তরিত হতে পারবে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জাতিসত্তাকে এ কোটা সুবিধা দেয়া হচ্ছে । পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় উর্দুভাষীদেরও কোটা সুবিধা প্রদানের দাবি জানান তিনি।
কাউন্সিলে আসিফ ইকবালকে সভাপতি, মাকসুদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ হাসান সোহেলকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ মুন্নাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন ইউএসপিওয়াইআরএম'র সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু।