News update
  • Attorney General Md Asaduzzaman resigns to contest election     |     
  • Zubayer Rahman Chowdhury takes oath as Bangladesh Chief Justice     |     
  • Iran’s president says his country is in a full-scale war with the West     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ amid fog     |     
  • BSF halts fencing at Joypurhat border after BGB intervention     |     

হারুনকাণ্ডে এডিসি সানজিদার বক্তব্য নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2023-09-13, 8:19am

resize-350x230x0x0-image-239514-1694540708-2736c1dc4c952ea5dd02e42776d78c421694571551.jpg




পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর এবং রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুনের মাঝে হওয়া ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। তবে, অনুমতি ছাড়া সানজিদার গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি নিজে সানজিদার সঙ্গে কথা বলিনি। গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে তিনি ঠিক করেননি। কমিশনারের অনুমতি ছাড়া সানজিদা এ ধরনের কোনো স্টেটমেন্ট দিতে পারেন না।

তিনি বলেন, এডিসি হারুন এবং পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা দুজনই বাড়াবাড়ি করেছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ঘটনা অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন বারডেম হাসপাতালে সানজিদার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন বলে তার স্বামী মামুনুল জানতে পারেন। পরে তিনি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে হারুনের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন।

সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সানজিদা গণমাধ্যমকে বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে আমি বুকে মারাত্মক ব্যথায় ভুগছিলাম। সেদিন (৯ সেপ্টেম্বর) পেইনটা একটু বেশিই হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নিই। যেহেতু ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল হারুন স্যারের আওতার মধ্যে পড়ে তাই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি স্যারের হেল্প চেয়েছিলাম।

সানজিদা জানান, হারুন স্যার আসার পর ডাক্তার ম্যানেজ হয়। এরপর ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। ঘটনার সময় আমি ইটিটি করানোর রুমে ছিলাম। সেখান থেকেই বাইরে হট্টগোলের শব্দ শুনি। পরে হারুন স্যারকেই চিৎকার করে বলতে শুনি ‘ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না।’ কিছুক্ষণ পর দেখতে পাই ওখানে আমার স্বামী আজিজুল হক মামুন। ওনার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছেলে ছিল। তারা হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।

‘এ সময় আমি আমার স্বামী এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। তখন আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তোলেন এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।’

সানজিদা আরও বলেন, হারুন স্যার আমার সিনিয়র কলিগ ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ঘটনার পর স্বামীর সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয়নি। আমি আমার অফিসেই আছি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।