News update
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     

আরাকান আর্মির দখলে বিজিপির ক্যাম্প, কমেছে গোলাগুলি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-02-08, 10:27am

iuyuwrq8-5ec258d4ec40e3ae9b68a1388d91c7d81707366564.jpg




মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-কে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর থেকে সেখানে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে। ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা গোলাগুলির ভয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আবার ঘরে ফিরেছেন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের টিলায় টিলায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিওপি রয়েছে। সেখানে অস্ত্রসহ অনেকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সীমান্তের বাসিন্দারা যাদের আরাকান আর্মি বলছেন।

তাদের ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে তাদের ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তরেখা দেশটির সরকারি বাহিনীর হাতে নেই।

তুমব্রুর বাইশফাঁড়ি গ্রামের আবদুল মালেক বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানকে এতোদিন সীমান্ত থেকে দূরে আত্মীয়র বাড়িতে রেখেছিলাম। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির শব্দ কম হচ্ছে। তাই তাদের আবার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, গোলাগুলি কমে যাওয়া এবং সীমানার ওপারে ক্যাম্পে যারা ঘোরাঘুরি করছে তা দেখে মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে।

একই এলাকার কৃষক শামসুল আলম বলেন, নাসাকা বাহিনী আর আরাকান আর্মির পোশাক আলাদা। কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে বিজিপি ক্যাম্পে আরাকান আর্মির পোশাকে অনেককে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। নাসাকার কারও দেখা নেই।

তুমব্রুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার দিল মোহাম্মদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে চার হাজারের মতো লোক। নারী-শিশুরা অন্যত্র চলে গেছে। গোলাগুলি বন্ধ হতে শুরু করলে কেউ কেউ ঘরে ফিরছেন।

ওপারে সীমান্তরেখার নিয়ন্ত্রণ আসলে এখন কাদের হাতে– এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তার ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। তুমব্রু বিওপি থেকে আমি যেটা দেখে এলাম, সেখানে রাইট বিজিপি পোস্ট রয়েছে। কিছু লোকজন চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা মিয়ানমার আর্মি, বিজিপি নাকি বিদ্রোহী বোঝা যাচ্ছে না। তবে তারা যেই হোক না কেন, আমাদের সীমানার ভেতরে যেন কোনো আক্রমণ না আসে– সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

এদিকে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং সীমান্ত হয়ে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে আরও ৬৪ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। পরে তাদের নিরস্ত্রকরণ করে বিজিবি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩২৮ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ হচ্ছে। যারা এখানে এসেছে, তাদের নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার।

এদিকে সীমান্তে অস্থিরতার কারণে আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন অভিমুখে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।