News update
  • Dhaka residents struggling with ‘unhealthy’ air quality     |     
  • Over 100 Killed in Brazil’s Deadliest Rio Police Raid     |     
  • Alphabet Tops $100 Billion Quarter as AI Drives Surge     |     
  • Wild bird meat raid in Sylhet’s Jaintiapur: 2 hotels sealed, 1 fined     |     
  • Reported massacre at hospital in Sudan’s El Fasher leaves 460 dead     |     

কুতুবদিয়ায় এমভি আবদুল্লাহ, ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম পৌঁছাবেন মঙ্গলবার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-05-13, 9:48pm

images-23-3b336a6e695b68bdfd237a1f9fb1e16b1715615352.jpeg




উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ভরা দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ও তাদের স্বজনদের।

দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। সুস্থ রয়েছেন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছে এমভি আবদুল্লাহ। জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবেন নাবিকরা। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজে করেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন।

মঙ্গলবার দুপুরের পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়া নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

যোগাযোগ করা হলে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। সেখানে কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছায়। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি মিনা সাকার বন্দরে নোঙর করে এরপর। সেখান থেকে কার্গো লোড করে অবশেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।