News update
  • Stock market: DSE fails to sustain early gains, CSE extends rally     |     
  • Illegal arms, disinformation pose major challenges to BD polls: Officials     |     
  • BNP senses ‘dangerous conspiracy’ against democratic transition     |     
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     

এমপি আনারের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া গেছে কি না- তা পরিষ্কার নয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-05-24, 7:13am

img_20240524_072227-1506d21d113ee1330cb1aa913a8392621716514156.jpg




ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ পাওয়া গেছে কি না- তা এখনো পরিষ্কার নয়। কেননা পুলিশ আনুষ্ঠানিক কিছু বলেনি। তবে কলকাতার বিভিন্ন সূত্র বলছে, এমপি আনারের মরদেহ খণ্ডবিখণ্ড অবস্থায় ইতোমধ্যেই কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে। এ নিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে নারাজ।

ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের পুলিশ ও এমপি আনারের পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় পৌঁছানোর পরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্ত করছে সংস্থাটি।

অপর একটি সূত্র বলছে, ভাঙ্গরের কৃষ্ণ মাটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দেহঅংশের সন্ধান মেলেনি বাংলাদেশী সাংসদ আজীমের। কলকাতা সিআইডির ধারণা সময় ক্ষেপনের জন্য ধৃত ব্যক্তিরা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।

আটক ক্যাবচালক জুবেইর ওরফে জিহাদকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জিজ্ঞাসাবাদ করলে কীভাবে সংসদ সদস্য আজিমকে কলকাতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে সিআইডিকে বিস্তারিত তথ্য দেন ক্যাবচালক।

মৃতদেহ টুকরো টুকরো করার পরে কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙ্গরের কৃষ্ণ মাটিতে ফেলা হয়েছে- ক্যাব চালকের এমন স্বীকারোক্তির পর সেখানে তল্লাশি করেছে সিআইডি টিম।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ পুলিশের বিরাট কনভয় (১৫টি গাড়ি) নিউ টাউন হয়ে বাগজোলা খালের পাশে এসে দাঁড়ায়। ১০০ জনের মতো পুলিশ খালপাড়ে তন্নতন্ন করে খণ্ডবিখণ্ড লাশ খুঁজতে শুরু করে।

এলাকাবাসী জানান, রাতের অন্ধকারে পুলিশের এই অভিযান চলে। পুলিশের এত কনভয় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভাঙ্গরের মানুষ।

এর আগে, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার মলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানান তাকে আর ফোন করতে হবে না। দরকার হলে তিনি তাকে (গোপাল বিশ্বাস) ফোন করবেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনো উপায় না দেখে গত ১৮ মে বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস।

জিডিতে গোপাল বিশ্বাস লিখেছেন, গত ১৩ মে দুপুর দেড়টার পর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আনোয়ারুল আজিম আনার। যাওয়ার সময় বলে যান, দুপুরে খাব না, সন্ধ্যায় ফিরে আসব। যাওয়ার সময় নিজে গাড়ি ডেকে বরাহনগর বিধান পার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে চলে যান।

এরপর তিনি সন্ধ্যায় বরাহনগর থানার অন্তর্গত মণ্ডলপাড়া লেনে বাড়িতে না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন, আমি বিশেষ কাজে দিল্লি যাচ্ছি। গিয়ে ফোন করব, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।

গোপাল বিশ্বাস মিসিং ডায়েরিতে আরও লিখেছেন, গত ১৫ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান আমি দিল্লি পৌঁছালাম, আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন, ফোন করার দরকার নেই।

এরপর বুধবার (২২ মে) সকালে গোপাল বিশ্বাস স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, এমপি আজিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ তাকে জানিয়েছে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশে তিনজন এবং কলকাতায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরটিভি নিউজ।