বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে সাংবাদিককে দেয়ার জন্য মানি ব্যাগ থেকে টাকা বের করছেন। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে ‘সরকারি অফিসে দুই-এক পয়সা না দিলে চলে, এটা তো সিস্টেম’ বলে আলোচনায় আসা উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের বদলি'র পরে নিউজের ফলোআপ (নিউজের পরের ঘটনা) না করতে সাংবাদিককে হাত খরচ (ঘুষ) দিতে চেয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে।
রোববার (২ জুন) বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ওই সাংবাদিক আলোচিত উপ-খাদ্য পরিদর্শকের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য নিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় যান। এসময় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে'র বক্তব্য চাইলে তিনি ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আপনাকে আমি কিছু হাত খরচ দিয়ে দেই, আপনি আর আগাইয়েন না।’
পরে তিনি আবার বলেন, একবারতো নিউজ করছেন আবার নিউজ দেয়ার কি দরকার?
একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিককে ম্যানেজ করার জন্য মানি ব্যাগ খুলে টাকা বের করতে থাকেন। পরে বলেন, ‘ধুর আপনারা হইছেন আমার কাছের লোক, এইডা কোনো কথা।’
এরআগে এই কার্যালয়ের উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের ঘুষ লেনদেন ও পয়সা ছাড়া সরকারি অফিস চলে না বলা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ‘সরকারি অফিসে দুই-এক পয়সা না দিলে চলে, এটা তো সিস্টেম’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে ওই কর্মকর্তাকে একই জেলার গলাচিপা উপজেলায় বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সময় সংবাদ