News update
  • US Pledges $2 Billion for UN Humanitarian Aid, Covers Bangladesh     |     
  • Postal Ballots Sent to Over 376,000 Bangladeshi Voters Abroad     |     
  • Arms smuggling attempts rise ahead of BD polls: Home Adviser     |     
  • Dense fog blankets Dhaka as wintry chill disrupts normal life     |     
  • BGB must maintain strategic relations with neighbours: Adviser     |     

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সর্তকতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-07-24, 8:07am

rttwewer-c7e877a4e235e73bf27483f71a0ecf7a1721786825.jpg




পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় গত কয়েকদিন ধরে সর্বোচ্চ সর্তকতায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে দুর্বৃত্তরা রাজধানীসহ দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও পদ্মা সেতুতে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

কারফিউর কারণে বর্তমানে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল অনেক কমে গেছে। এখন প্রতিদিন গড়ে যান পারাপার হচ্ছে মাত্র তিন হাজার। টোল আদায় হচ্ছে ৪০ লাখ টাকার মতো।

অথচ স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার ১৬৮ যান পারাপার হতো। গড় টোল আদায় হতো ২ কোটি ৩২ লাখ ১৪ হাজার ২২ টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে প্রতিদিন পদ্মা সেতুতে রাজস্ব কমেছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার কাছে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেলে থানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপর আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেয় পদ্মা সেতুর মাওয়া চৌরাস্তার গোল চত্ত্বরে। পরে সেখান থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর আর কোনো চ্যালেঞ্জ না আসলেও সর্বোচ্চ সর্তকতায় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরদিন শুক্রবার (১৯ জুলাই) সেতুতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। শনিবার (২০ জুলাই) থেকে সেতুর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক মোতায়েন রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেতুর নিরাপত্তায় কাছেই স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস। 

এছাড়া পূর্ণাঙ্গ ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে জাজিরায়। মাওয়া প্রান্তেও রয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাসের একটা অংশ। সেতুর স্থলভাগ ছাড়াও নৌপথেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জলে ও স্থলে সেতুর সবখানেই সবরকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী।

তবে পদ্মা সেতুতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে। টোল প্লাজা তো দূরের কথা দুর্বৃত্তরা সেতুর ধারেকাছেও আসতে পারেনি। ফলে এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয়নি সেতুর যান চলাচল। তবে কারফিউর কারণে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে সিডিউল অনুযায়ী সব ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, সেতুতে যান চলাচলে কোনো  চ্যালেঞ্জ নেই। বর্তমানে কারফিউর কারণে খাদ্যবাহী ট্রাক, পিকাপভ্যান, কাভার্ডভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি যান চলাচল করছে। কিছু মোটারসাইকেলও চলছে। 

তবে নিরাপত্তার স্বার্থে যানবাহনগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। যাতায়াতের কারণ সম্পর্কে জেরার মুখেও পড়তে হচ্ছে চালকদের। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন জানান, বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায়ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সময় সংবাদ