News update
  • Dhaka’s mosquito menace out of control; frustration mounts     |     
  • 10-day National Pitha Festival begins at Shilpakala Academy     |     
  • Dhaka concerned at dwindling funds for Rohingyas     |     
  • Rohingya crisis in uncertainty; WASH sector faces challenges     |     
  • HRW delegation meets Commission of Inquiry on Disappearances     |     

সরকারি চাকরি চাইতে গিয়ে এখন নিজেরাই সরকার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-08-09, 8:35am

img_20240809_083611-309678023cbd75ff3228bce06f43d3941723170985.jpg




হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে জায়গা করে নিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই নেতা। তারা হলেন, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই দুই সমন্বয়ক বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। দেশের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে রেকর্ড গড়লেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

ইতিহাস বলছে, ৩০ বছর বয়সের কম কেউ কখনোই সরকারের উপদেষ্টা হতে পারেননি। সার্টিফিকেট অনুযায়ী নাহিদ এবং আসিফ দুজনের বয়সেই ২৬ বছর। শুধু উপদেষ্টা নয় সংসদ সদস্যও এত কম বয়সে হওয়ার নজির নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিল জন ছিলেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। ওই সময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর।

আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া ও মো. নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন ও মায়ের নাম রোকসানা বেগম। ২৬ বছর বয়সী এ উপদেষ্টা আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি কলেজের বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। আদমজী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বয়স ২৬। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় নাহিদ জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে পড়াশুনা করছেন তিনি। তিনি বিবাহিত। তার বাবা একজন শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। নাহিদের ডাকনাম ‘ফাহিম’। তার এক ছোট ভাই রয়েছে। তিনি ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।

তাদের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বরাবরই তারা মানুষের অধিকার নিয়ে সরব ছিলেন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথেও যুক্ত ছিলেন এই দুই নেতা। পরবর্তীতে ডাকসু ভিপি নুরুল হল নুরের সাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেন তারা। ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের দায়িত্বেও। পরবর্তীতে এই সংগঠন ভেঙে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতারের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি নামে একটি ছাত্র সংগঠন। নাহিদ এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব এবং আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

নাহিদ এক নম্বর সমন্বয়ক এবং আসিফ চার নম্বর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বপালনকালে নির্যাতনেরও শিকার হোন তারা। তাদের দুজনকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নাহিদের দাবি, ‘অপহরণকারীরা ছিলেন ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনী’র সদস্য। যদিও তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা পরেছিলেন সাধারণ পোশাকে। নাহিদ দাবি করেছেন, তার হাত, চোখ বেঁধে অত্যাচার চালানো হয়েছিল। বার বার কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। পরে সব দি;ক তেকে চাপ সৃষ্টি হলে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় আবারও তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবিতে। ডিবি হারুন তাদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয় তাদের।

নাহিদ ও আসিফসহ ৬ সমন্বয়ককে কঠিন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি সরকার। তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে ৩২ ঘণ্টা অনশনের পর সুশীল সমাজের চাপে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হয়। পরে বের হয়েই তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে এক দফা ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম। যার ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। আর তাদের নেতৃত্বে তৈরি হয় ইতিহাস, নিজেরাও হলেন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকারি চাকরি পেতে কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে এখন নিজেরাই সরকার হয়ে গেছেন। আরটিভি।