News update
  • Bangladesh Bank Buys $115 Million to Support Forex Market     |     
  • Tarique Rahman, Daughter Zaima Added to Voter List     |     
  • NCP and LDP Join Jamaat-Led Eight-Party Alliance     |     
  • Tarique Rahman’s gratitude to people for welcoming him on his return     |     
  • Attorney General Md Asaduzzaman resigns to contest election     |     

কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-01-16, 7:43am

img_20250116_085410-be612cc454a6bbae4176e06ba51004bb1736996760.jpg




দীর্ঘ এক যুগ বছর পর কারামুক্ত হলেন মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার আল মামুন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে মুক্ত হন তিনি। এর আগে মোহাম্মদ হোসেনের মুক্তির যাবতীয় কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসার সময় গেটে আত্মীয়-স্বজন ও ডেসটিনি পরিবারের লোকজন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতে দুদকের করা মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজার অধিক মেয়াদ কারাভোগ করায় জেল কর্তৃপক্ষকে রফিকুল আমিন ও মুহাম্মদ হোসেনকে কারামুক্তির নির্দেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাগুলোর তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জন এবং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

অন্যদিকে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। অভিযোগে আরও বলা হয়, আত্মসাৎ করা অর্থের একটি অংশ এলসি (ঋণপত্র) আকারে এবং কিছু সরাসরি বিদেশে পাচার করা হয়। দুদকের করা মামলার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর আদালত দোষীদের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেন। আরটিভি