ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলতি মাসের মাঝামাঝিতেই জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
বুধবার (০২ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের সংলাপের শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সবার দলীয় অবস্থান সবার আছে, আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে আশাবাদী। প্রতিদিন হয়তো অর্জন করছি না। তবে আশাবাদী এক জায়গায় পৌঁছাতে। মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
সংস্কারের ব্যাপারে মানুষ প্রত্যাশা করছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় অবস্থানের কারণে প্রতিদিনের আলোচনায় অর্জন না হলেও এক জায়গায় পৌঁছাতে আশাবাদী কমিশন।
সকাল ১১টায় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি নিরবতা পালনের মাধ্যমে শুরু হয় এ বৈঠক। এতে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। সংস্কার বাস্তবায়নে জাতীয় সনদ তৈরি করতে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৪৫টি অধিবেশন শেষে চলতি মাসের ২ তারিখে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন।
এদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। একইসাথে আলোচনা হতে পারে অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়েও।
এর আগে রোববার (২৯ জুন) জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যমত হতে হবে বলে মন্তব্য করেন ড. আলী রীয়াজ।
দেশের স্বার্থে সংস্কার আলোচনার অগ্রগতি প্রয়োজন উল্লেখ অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না তাই দেশের স্বার্থে আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন৷ যে অঙ্গীকার নিয়ে আমরা গত জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তার কতটা অর্জিত হয়েছে? আমরা কী শুধু নিজের ও দলের স্বার্থ চাইব, নাকি দেশের স্বার্থও দেখব? আমরা আশা করি বেশিরভাগ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে নিয়ে আসতে পারবো।
কমিশন বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে দ্বিকক্ষীয় সংসদের পক্ষে, উচ্চকক্ষ প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আসন গঠনের একমত বেশিরভাগ দল। তবে কিছু দল একমত হয়নি।