যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বন্যায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ শিশু।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কারভিল শহরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, সড়কপথ বিচ্ছিন্ন এবং বহু গাড়ি ভেসে গেছে।
টেক্সাসের প্রশাসন পরিস্থিতিকে ‘প্রাণঘাতী ও অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঘোষণা করে বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় গুয়াদালুপে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে ২৬ ফুট (প্রায় ৮ মিটার) বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি করেছে। এতে বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে এবং প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এক সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বড় পরিসরে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে অংশ নেওয়া ২০ শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে ওইসব শিশু হারিয়ে গেছে। তারা হয়তো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া সংস্থা জানায়, ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে নদীটির পানি। স্থানীয় শেরিফ কার্যালয় জানায়, বন্যায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তবে সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়। কারভিলের কর্তৃপক্ষ নদীর একশ গজের মধ্যে বসবাসকারীদের অবিলম্বে সরে যেতে বলেছে।
এদিকে একইদিনে চীনের গানসু ও ইউনান প্রদেশে টানা বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ ভূমিধস ও বন্যার ঘটনা ঘটেছে। ইউনানে ৭০ মিলিমিটার এবং গানসুর লংনান ও তিয়ানশুই এলাকায় ২৬৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। লংনান শহরে একটি গাড়ি প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ১১টি সড়ক।
অন্যদিকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে শতাব্দীর ভয়াবহতম ঝড়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ি ও বাড়িঘর। নেভা নদীর পানি ১ দশমিক ৮ মিটার বেড়ে যাওয়ায় চালু করা হয় বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার, উপড়ে গেছে শতাধিক গাছ। বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্ক, জাদুঘরসহ সব ধরনের জনসমাগমস্থল।