টাইব্রেকারে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে কোপা দেল রে’র শিরোপা জয় করেছে রিয়াল বেতিস। ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকায় টাইব্রেকারে নির্ধারিত হয় জয় পরাজয়। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৫-৪ গোলে জয়লাভ করে বেতিস।
টাইব্রেকারে ভ্যালেন্সিয়ার ইউনুস মুসার শটের বল বারের উপর দিয়ে বাইরে চলে গেলে জয়সুচক গোল করার সুযোগ পান বেতিসের হুয়ান মিরান্ডা। এতেই ক্লাবের ১১৫ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ শীর্ষ স্থানীয় শিরোপা জয় করে বেতিস।
গতকাল অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে গোল করে বেতিসকে এগিয়ে দেন বোর্জা ইগলেসিয়াস। তবে বিরতিতে যাবার আগেই ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে গোলটি পরিশোধ করে দেন হুগো ডুরো। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এবং অতিরিক্ত সময়ে কোন পক্ষই আর গোল করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য মুসার ব্যর্থতা এবং মিরান্ডার ঠান্ডা মাথার প্রচেস্টা বেতিসকে নিজ শহরেই এনে দেয় তৃতীয় বারের মতো কাপ শিরোপা। এর আগে ১৯৭৭ ও ২০০৫ সালে শিরোপা জয় করেছিল ক্লাবটি।
স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ’র কাছ থেকে ট্রফি গ্রহনের পর সেটি উচিয়ে ধরেন বেতিসের অধিনায়ক জোয়াকিন। তিনি বলেন,‘ আমি এখন জয় এবং আবেগের অশ্রু বিষর্জন করছি। আমরা ফের একটি কাপ জয় করতে চেয়েছিলাম। জানতাম এটি খুবই সুন্দর।’
৪০ বছর বয়সি জোয়াকিন ২০০০ সালে যখন বেতিসের হয়ে অভিষিক্ত হন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। ১৭ বছর আগে এই ক্লাবের হয়ে ফাইনাল খেলেছিলেন তিনি। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে মাঠে আসেন তিনি। এবং টাইব্রেকারে একটি গোল করেন। এটি হচ্ছে তার উল্লেখযোগ্য ক্যারিয়ারের ইতি ঘটানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এখন দেখা যাক তিনি কি সিদ্ধান্ত নেন।
জোয়াকিম বলেন,‘ আমি এই সময়টি দারুনভাবে উপভোগ করছি। আমরা কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন। আমরা এই শিরোপাটিকে উৎসর্গ করেছি সেই সব ব্যক্তিদের, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন- কোচিং স্টাফ, বাবুর্চি , ওয়েটার, সবাই। দৃশ্যপটে না থেকে যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তারা আমাদের মতোই কৃতিত্বের দাবিদার। ’ তথ্য সূত্র: বাসস।