News update
  • Gaza Begins Mass Cleanup to Restore Dignity and Normal Life     |     
  • BNP weighing review of some nominations amid grassroots unrest     |     
  • US presses for Gaza resolution as Russia offers rival proposal     |     
  • 35 crude bombs, bomb-making materials found in Geneva Camp     |     
  • 8 Islamic parties want referendum before polls, neutral admin     |     

স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা নির্মাণে এক সাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-04-29, 8:15pm




তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাথে স্মার্ট ত্রিপুরা বিনির্মাণে আমরা দুই দেশ এক সাথে নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, 'আমাদের যেহেতু একই রকম আবহাওয়া, পরিবেশ ও সংস্কৃতি রয়েছে তাই আমরা চাইলেই একসাথে মিলে উদ্ভাবনী জাতি গঠনে স্মার্ট শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি, পরিবেশ- এই সকল বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করতে পারি।'

ত্রিপুরায় ২০ হেক্টর জায়গা জুড়ে যে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের আইসিটি শিল্পের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে বলে তিনি আভাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগারতলার হোটেল পোলো টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট ২০২২’এ সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং আগরতলা হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে এ আইটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডিজিটাল বাংলদেশ টু স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড় মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র, কারা এবং অগ্নি নির্বাপন মন্ত্রী রাম প্রাসাদ পাল এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার আইটি শিল্পের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে রাজ্য সরকারের শিল্প বাণিজ্য তথা তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের মুখ্য সচিব পুনিত আগারওয়াল।
সামিটের উদ্দেশ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের মেধাবীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়। এর ফলে আইটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তার নির্দেশনায় দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে আমার ২০১০ সাল থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৩০০টি সংসদসীয় আসন ভিত্তিক স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করেছি। এছাড়াও ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর ফোর আইআর স্থাপন করতে যাচ্ছি। কাজ চলছে ব্লেন্ডেড লার্নিং এর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, দূরদর্শিতা ও সাহসিকতা দিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন।
বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সেটা আরো ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী করে এক সাথে এগিয়ে যেতে চাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ই-মানেই ডিজিটাল। আর ডিজিটাল মানে করাপশন ফ্রি, কমিউনিকেশন ফাস্ট। তাই কোনো দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ডিজিটাইজেশন করতে হবে। যারা এর  বিরোধীতা করবে তারা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ। কেননা যখন সব কিছু অনলাইন করা হয়, মাতব্বরি চলে যায়। ধৃষ্টাচার চলে যায়। সময় বেঁচে যায়। সর্বোপরি  মানুষের কল্যাণ হয়। কিন্তু আইটি এমন একটি বিষয় তার কোনো সীমানা নেই। তার জন্য ভারতের একটি রাজ্যের চেয়েও ছোট দেশ হয়েও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান আইটির জন্য কোথায় চলে গেছে! আমরা জাপানের মতো বাংলাদেশের খোঁজও রাখি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ছাড়া উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া যাবে না। সেজন্য শপথ নেয়ার পর তিনি বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন।

ত্রিপুরায় আইটি বিশেষ করে ডেটা সেন্টারের ব্যবসা আছে উল্লেখ করে উপস্থিত বাংলাদেশেী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিজনেস শুধু টাকা-রোজগার, কমার্সিয়াল আদান-প্রদান নয়; বিজনেস সম্পর্ক তৈরি করে। নিজেদের মধ্যে আত্মীয়তা তৈরি করে।
পরে মন্ত্রীবর্গ আইটি সম্মেলন উপলক্ষে স্থাপিত বাংলাদেশের আরএফএলসহ  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রত্যক্ষ করেন। তথ্য সূত্র: বাসস।