Farakka barrage that causes devastating floods in Bihar, Bank erosion in Murshidabad, India and both floods and droughts in Bangladesh
ঢাকা, ১৫ মে, ২০২২: আজ ১৫ মে, ২০২২ রোববার গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তাসহ সকল যৌথ নদীর অববাহিকা ভিত্তিক সমন্বিত আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি অবাহিকা ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনার যে আহবান জানিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে তাঁরা বলেন সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই নদীকে জীবিত রাখা এবং তীরবর্তী সকল জনগোষ্টির জন্য পানির সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ফারাক্কা লংমার্চের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে আইএফসি নেতৃবৃন্দ এই আহবান জানান। ১৯৭৬ সালের ১৬মে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই লংমার্চ আয়োজন করেন। সীমান্তের ১১ মাইল দূরে ফারাক্কা বাঁধ থেকে গঙ্গা নদীর একতরফা গতি পরিবর্তন করায় বাংলাদেশের নদী শুকিয়ে যে বিশাল পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়, ফারাক্কা লংমার্চ ছিল তার বিরুদ্ধে প্রথম সফল গনপ্রতিবাদ। এই লংমার্চ রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ থেকে শুরু হয়ে চাপাই নবাগঞ্জের কানসাটে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ১০০ মাইল দীর্ঘ এই লংমার্চে অংশ নেন।
তাঁরা বলেন ৪৬ বছর আগে আয়োজিত এই লংমার্চের যথার্ততা বিভিন্নভাবে প্রমানিত হয়েছে। বিহার সরকারসহ ভারতের অনেকে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে দেবার দাবি তুলেছেন। ভারতের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ নির্মান করে স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত করায় কাবেরী, সবরমাটি নদী শুকিয়ে গেছে এবং গঙ্গানদীও একই ভাগ্যবরণ করতে চলেছে। আইএফসি নেতৃবৃন্দ বলেন, নদীকে বাচিয়ে রাখতে হলে তাকে উৎসমুখ থেকে সাগর পর্যন্ত প্রবাহমান রাখতে হবে।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, আইএফসি নিউইয়র্ক চেইয়ারম্যান, আতিকুর রহমান সালু, মহাসচিব, সৈয়দ টিপু সুলতান; আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সভাপতি, ডঃ এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্ব্য়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।