News update
  • Logi-boitha of 2006 was the 1st reflection of Hasina’s fascism: Rizvi     |     
  • Economists express concern over bank merger; BB remains confident     |     
  • No response on request for Hasina’s extradition: Touhid Hossain     |     
  • Deep relations with US, economic ties with China: Touhid     |     
  • Recommendations on July Charter implementation submitted to CA     |     

বাংলাদেশের তথ্যের ভিত্তিতে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে : দোরাইস্বামী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-17, 10:49pm




ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী আজ বলেছেন, বাংলাদেশী পলাতক ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গে আটক করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আপনাদের (বাংলাদেশ) সরকার ভারতীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য বিনিময় করেছে। সংস্থাগুলো হালদারকে আটক করার জন্য এসব তথ্য পরীক্ষা করেছে।
হাইকমিশনার বলেন, হালদারের গ্রেফতার দুই সরকারের মধ্যে স্বাভাবিক সহযোগিতার অংশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এটি একটি প্রক্রিয়া, এর বাইরে বিশেষ কিছু নয়।  অপরাধীদের সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশ সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত।  
হালদারকে কখন প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে জানতে চাইলে দোরাইস্বামী বলেন, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এবং ‘আপনি জানেন এটি বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় করার মতো নয়’। তিনি আরো বলেন, সুতরাং এটি ধীরে ধীরে ঘটতে দিন।
হাইকমিশনার বলেন, নয়াদিল্লী বিষয়টি নিয়ে ঢাকার সঙ্গে কাজ করছে এবং হালদার সম্পর্কিত তথ্য বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
মাসুদ পরে গণমাধ্যমকে বলেন, পি কে হালদারকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য ফিরিয়ে আনতে ঢাকা ভারতের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আশা করছে।
সচিব বলেন, আমাদের বৈঠকে, আমি পি কে হালদারের বিষয়েটি উত্থাপন করেছি। তিনি (ভারতীয় হাইকমিশনার) আমাকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমানে ভারতে চলমান আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে হালদারকে ফেরত পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, তাকে ফেরত পাঠানো হবে না, এমন কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ঢাকা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে হালদারকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করবে, এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মাসুদ বলেন, আমরা সবাই একই অবস্থানে আছি কারণ আমরা কোনো অপরাধীকে ছাড় দেব না।
পলাতক অপরাধীদের বিনিময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, হালদারকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যা যা করা দরকার ঢাকা তা করবে। তবে তিনি আরো বলেন, তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কোন চ্যালেঞ্জ হবে না, কারণ বর্তমানে ঢাকা ও নয়াদিল্লী তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘সুবর্ণ অধ্যায়’ উপভোগ করছে।
শনিবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে হালদারসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ এনফোর্সমেন্ট (ইডি) কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে হালদারের সহযোগীদের আটক করার জন্য বিভিন্ন আবাসিক ভবনে অনুসন্ধান অভিযান চালায়  বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) এর ৩৫০ কোটি টাকার বেশি পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে। তথ্য সূত্র বাসস।