News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

কোরবানির এক মাস আগেই লাগামহীন মসলাসহ নিত্যপণ্যের বাজার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-05-17, 4:31pm

images-1-26-adc49b8785a2ff3f820b561cb1a1f1cc1715942339.jpeg




কোরবানির ঈদের বাকি আরও প্রায় এক মাস। লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরবরাহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ডিম ও মাংসের বাজারেও। এদিকে কোরবানির ঈদের বাকি আরও প্রায় এক মাস। এর মধ্যেই মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

এদিকে, আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে এখনও চড়া মাছের দাম। বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে ৫৫ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমের কারণে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে পণ্যের।

ক্রেতারা বলেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। কিন্তু ঈদের পরও সেই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসারে। অসহায় ক্রেতাদের এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ব্যবসায়ীরাও বুঝে গেছে, দাম বাড়ালেও পণ্য কিনবে সাধারণ মানুষ। তাই খেয়াল-খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে পণ্যের।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির চড়া দাম প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাকরোল-বরবটিরও ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা।

সবজির বাজার ছাড়াও বাড়তি উত্তাপ দেখা গেছে সব ধরনের মাছ, সোনালি মুরগি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামে। অন্যান্য পণ্যও চড়া দামে আটকে রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা কিংবা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে মিলছে না।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দামে ততটা হেরফের না হলেও সোনালি মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।

দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ মাছ। এর মধ্যে রুই ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, কালবাউশ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাবদা ৫৪০ টাকা। বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন নেই। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০-১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম হলে ১৬০০-১৮০০ টাকা। আর কেজি সাইজের হলে দাম দুই হাজারের ওপরে। পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৮০ টাকা, চাষের কই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদের বাকি আরও প্রায় এক মাস। এর মধ্যেই মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে এলাচির দাম বাড়ছে লাফিয়ে। এ ছাড়া অন্যান্য মসলার মধ্যে দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা মরিচ ও হলুদের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি। কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। তাই কোরবানিকে সামনে রেখে আগেভাগেই বাজারে মসলার দাম বেড়ে গেছে।

মসলার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এলাচির দাম। দুই মাস আগে প্রতি কেজি এলাচির দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। খুচরায় এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এলাচির দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। এলাচির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে আমদানিকারকেরা বলছেন, বিদেশে এলাচির দাম বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচও বেড়ে গেছে। সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বলছেন, আমদানি করা এলাচি কয়েক হাত বদলের পর খুচরায় এসে দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে। আমদানিকারক থেকে নিয়ে একশ্রেণির ব্যবসায়ী এলাচি মজুত করে বেশি মুনাফা করছেন।

বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা ৬৫০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৬০ টাকা, দারুচিনি ৩৭৫ টাকা, গোলমরিচ ৮০০ টাকা এবং জয়ত্রি ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।