News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

কমছে সবজির দাম, চালের দাম চড়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-07-28, 12:59pm

img_20240728_130018-2e09e8b694bfaaa462a09aeaaa930c621722150045.jpg




সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়। এ সময় বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় ঢাকার খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, বিশেষ করে কাঁচা শাকসবজির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এখন ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় পণ্যের সরবরাহ বাড়ছে, সঙ্গে দামও কমছে।

সরবরাহ বাড়ায় ডিম, সবজি ও ব্রয়ালার মুরগির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে চাল ব্যবসায়ীরা সরবরাহ পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজির বস্তা) ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন, তা এখনও কমাননি। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে বলে জানান ভোক্তারা।

ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সারাদেশে অচলাবস্থা তৈরি হয়, তখন সাপ্লাই চেইন ব্যাপকহারে বিঘ্নিত হয়েছিল। তখন বাজারে সবজি, মাছ, মুরগি, ডিম সরবরাহ একেবারে তলানিতে নেমে যাওয়ায় বেড়ে যায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম।

তবে কারফিউ জারির কারণে বর্তমানে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সরবরাহও বেড়েছে, চাল ছাড়া কমেছে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম।

প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৭০-১৮০ টাকা থেকে কমে তা এখন ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যদিও ঢাকার কোথাও কোথাও আরও ৫ টাকা বেশি দামে ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।

একইসঙ্গে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও। ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এখন বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকায়।

ডিম বিক্রিতা ফজলুর জানান, ‘ডিমের সরবরাহ এখন প্রচুর, তাই দামও কমেছে।’

এছাড়া কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। ৭০-৮০ টাকার পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা; ঢেঁড়শ ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, ১২০ টাকায় উঠে যাওয়া বেগুন এখন বাজার ও মানভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা ও পটল ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আলু এখনও ৭০ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য উৎপাদন কম হওয়ার কারণে আলুর বাজার কয়েক মাস ধরেই অস্থির। একই অবস্থা পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনতে ১২০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

কমেনি চালের দাম:

বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা জানান, তিনি গত শুক্রবার বিআর-২৮ চাল কিনেছেন এক বস্তা। যেটি কদিন আগেও ২,৬০০ টাকা ছিল, সেটি এখন তাকে কিনতে হয়েছে ২,৭৫০ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ, প্রতি কেজি চালে ৩ টাকা বাড়তি গুণতে হয়েছে এই ক্রেতাকে।

এদিকে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘সরবরাহ সংকট কাটলেও দাম কমাননি বিক্রেতারা, যেটা ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।’

চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চাটখিল রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেন বলেন, ‘বোরো মৌসুমের শুরুতে, এপ্রিল-মে মাসে ধানের দাম ছিল ৯০০-৯৫০ টাকা মন। এখন এটা ১১৫০-১২০০ টাকা হয়েছে। কিন্তু এই দামটা আন্দোলন পরিস্থিতির মধ্যে বেড়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন এটা যৌক্তিক না।’

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, মোটা চালের দাম সর্বোচ্চ ৫৪ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.১২ শতাংশ বেশি। অথচ বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের পূর্বাভাস বলছে চাল উৎপাদন হবে ২ কোটি ২৪ লাখ টন— যেখানে গত বছর বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ টন।

মাঝারি মানের চাল (বিআর-২৮ এর মত চাল) বাজারে বিক্রি হচ্ছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৬৭ বেশি দামে। অথচ গত বছরের তুলনায় এবারে মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম ছিল মনপ্রতি অন্তত ২০০ টাকা কম। আরটিভি নিউজ।